আসন্ন কোরবানির ঈদে দেশের ১১ সিটি করপোরেশনসহ বিভিন্ন পৌরসভায় পশু জবাইয়ের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর ৬,২৩৩টি সুনির্দিষ্ট যায়গায় পশু জবাই করা যাবে। এছাড়া সারাদেশে আনুমানিক ৩৫-৪০ লাখ পশু এবং সিটি করপোরেশন এলাকায় ৭ লাখ ১৬ হাজার ৯৪০টি পশু কোরবানি হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। আজ দুপুরে সবিচালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে ঈদুল আজহা উপলক্ষে ‘নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানির পশু জবেহকরণ এবং দ্রুত বর্জ্য অপসারণ নিশ্চিত করার লক্ষে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন’ বিষয়ক এক সভায় এ সিদ্ধানস্ত নেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বৈঠক থেকে বের হয়ে মন্ত্রী বলেন, এবার যেসব স্থান পশু জবাইয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে সেখানে পশু নিয়ে আসতে সবাইকে উৎসাহী করতে চাই। যেহেতু ধর্মীয় বিষয়, তাই এখানে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। কেউ যদি নিজ বাড়ির আঙিনায় কোরবানি করতে পারেন, তাহলে তো সমস্যাই নেই। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক ও সাইদ খোকন, চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির, নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভি, রংপুরের মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। ঢাকার দুই মেয়র পরিবেশ ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে রাস্তার ওপর কোরবানি না করতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেছেন। তারা জানান, যেহেতু তিনদিন ধরে কোরবানি হয় সেহেতু ৪৮-৭২ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা শহরকে পরিস্কার করে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে তারা নগরবাসীর সহেযাগিতা চেয়েছেন।