জেএমবি পরিচালিত ‘আত্-তামকীন’ জঙ্গি সাইটের অ্যাডমিনসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল বলে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তারা জঙ্গি হামলার বিভিন্ন ছবি আত্-তামকীনে আপলোড করে জঙ্গিদের উৎসাহ দিতো। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত (২৭), জাহিদ আনোয়ার (২২), জাহিদ হাসান ওরফে মাঈন (২১) মো. জিয়াবুল হক ওরফে জিয়া (২৪), মো. নয়ন হোসেন (২১) ও মো. তাজুল ইসলাম ওরফে তাজুল (২৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৭ রাউন্ড গুলি, ৫টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৪টি চাপাতি, ৫টি চাকু, ১২টি চকলেট বোম্ব এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। গতকাল দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাবের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৪ এর একটি দল বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি জেএমবি’র দুটি গ্রুপ দাওলাতুল ইসলামের ব্যানারে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁ ও শোলাকিয়ায় নাশকতার ঘটনা ঘটায় এবং পরবর্তী সময়ে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনাস্থল থেকে প্রাপ্ত আলামত নিয়ে কাজ শুরু করে র্যাব। র্যাবের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, জেএমবি’র এরকম আরো বেশ কিছু গ্রুপ নাশকতার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছে এবং যেকোনো স্থানে তারা নাশকতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম। “আত্-তামকীন” জেএমবি কর্তৃক পরিচালিত একটি জঙ্গি ওয়েব সাইট। তিনি আরো জানান, এদেশীয় জঙ্গিরা তাদের বিভিন্ন জঙ্গি হামলার সংবাদ ও ছবি “আত্-তামকীন” নামে সাইট-এর মাধ্যমে প্রকাশ করে। বিভিন্ন হামলা চালানোর পর অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হামলা সংক্রান্ত সংবাদ ও ছবি “আত্-তামকীন” এ আপলোড করে থাকে। এ ছাড়াও এ সাইটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক স্থাপন এবং প্রচারের জন্য আইএস কর্তৃক সংগঠিত বিভিন্ন হামলার সংবাদ বাংলায় অনুবাদ করে নিয়মিতভাবে প্রচার করে থাকে। আইএস এর বরাত দিয়ে দায় স্বীকারের উদ্দেশ্য মূলত প্রচার বেশি পাওয়া এবং ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা। আনসারুল্লাহ বাংলা টিম এবং জেএমবির শীর্ষ নেতাদের নেতৃত্বহীনতার কারণে তারা নিজেদের মধ্যে এক রকমের সমঝোতায় আসে এবং তারা “দাওলাতুল ইসলাম” এর ব্যানারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, “আত্-তামকীন” জঙ্গি সাইটের অ্যাডমিনের দায়িত্ব পালন করতো ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত। আর বাকি পাঁচজন হচ্ছে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল। সমগ্র বাংলাদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপারসেল এর বেশ কিছু সদস্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নাশকতার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, ইমো, টেলিগ্রাম, থ্রিমা ইত্যাদির মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যগণ যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
তিনি আরো জানান, জঙ্গিদের ওয়েব সাইট “আত্-তামকীন” এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতগুলো গ্রুপে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে একটি গ্রুপ অনুবাদের কাজ করে, একটি গ্রুপ ফটোশপ এর কাজ করে, একটি গ্রুপ ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ এবং অবশিষ্ট গ্রুপ প্রচারের কাজে নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের পর পর “আত্-তামকীন” আইএস এর পক্ষে বাংলায় দায় স্বীকার করে। তারা প্রায় সকল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতো।
তিনি আরো জানান, সাধারণত তারা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে অথবা হিতাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ইয়ানত সংগ্রহ করে সংগঠন পরিচালনা করে। ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে তারা তাদের আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটি ব্যাংক অথবা বিকাশের মাধ্যমে সম্পন্ন করে না। এক্ষেত্রে তারা নতুন পদ্ধতি যেমন- স্বর্ণ চোরাকারবারি প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের সহকারী পরিচালক মেজর রইসুল আজম মনি, এএসপি মিজানূর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
র্যাব কর্মকর্তা জানান, “আত্-তামকীন” জঙ্গি সাইটের অ্যাডমিনের দায়িত্ব পালন করতো ইঞ্জিনিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে সিফাত। আর বাকি পাঁচজন হচ্ছে জেএমবির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদের আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল। সমগ্র বাংলাদেশে এই জঙ্গি সংগঠনের স্লিপারসেল এর বেশ কিছু সদস্য বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নাশকতার জন্য পূর্ণ প্রস্তুতি গ্রহণ করে আসছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, ইমো, টেলিগ্রাম, থ্রিমা ইত্যাদির মাধ্যমে এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যগণ যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে।
তিনি আরো জানান, জঙ্গিদের ওয়েব সাইট “আত্-তামকীন” এর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কতগুলো গ্রুপে কাজ করে থাকে। এর মধ্যে একটি গ্রুপ অনুবাদের কাজ করে, একটি গ্রুপ ফটোশপ এর কাজ করে, একটি গ্রুপ ভিডিও এডিটিংয়ের কাজ এবং অবশিষ্ট গ্রুপ প্রচারের কাজে নিয়োজিত থাকে। বিভিন্ন সময় হত্যাকাণ্ডের পর পর “আত্-তামকীন” আইএস এর পক্ষে বাংলায় দায় স্বীকার করে। তারা প্রায় সকল কাজ ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতো।
তিনি আরো জানান, সাধারণত তারা নিজেরাই চাঁদা দিয়ে অথবা হিতাকাঙ্ক্ষীদের কাছ থেকে ইয়ানত সংগ্রহ করে সংগঠন পরিচালনা করে। ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে তারা তাদের আর্থিক লেনদেনের প্রক্রিয়াটি ব্যাংক অথবা বিকাশের মাধ্যমে সম্পন্ন করে না। এক্ষেত্রে তারা নতুন পদ্ধতি যেমন- স্বর্ণ চোরাকারবারি প্রক্রিয়ায় অর্থ সংগ্রহ করে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের সহকারী পরিচালক মেজর রইসুল আজম মনি, এএসপি মিজানূর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।