বিএনপির সদ্য ঘোষিত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদ থেকে মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজি সালিমুল হক কামাল (কাজী কামাল) পদত্যাগ করেছেন। দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সালিমুল হকের রাজনৈতিক এপিএস আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং মাগুরা প্রেস ক্লাবে পৌনে ১২টার দিকে তার পদত্যাগপত্রটি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেন। আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের বলেন, স্যার (সলিমুল হক) বিএনপির কমিটি নিয়ে খুবই ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একইসঙ্গে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত নেতাদের দিয়ে মাগুরা জেলা বিএনপি কমিটি করায় তিনি দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগপত্রে কাজী কামাল অভিযোগ করে বলেন, ‘দলের স্থায়ী কমিটিতে কিছু বির্তকিত লোকদের সদস্য করা হয়েছে যাদের নেতৃত্বে বিএনপি করা সম্ভব নয়।’ লিখিত পদত্যাগপত্রে আরও উল্লেখ করেন, ‘ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে যার ভূমিকা ছিল প্রশ্নবোধক সেই নিতাই রায় চৌধুরীকে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান এবং মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত করায় দলের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ইউপি নির্বাচনে ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে নিজ ঘরানার প্রার্থী দেওয়ায় বিএনপির চরম ভরাডুবি হয়েছে।’ উল্লেখ্য, ‘ইকোনো কামাল’ হিসেবে পরিচিত জিকিউ গ্রুপের মালিক ও ১৯৯৪ সালের বিতর্কিত মাগুরা উপনির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি দলীয় সাবেক এ এমপি দলীয় প্রধান খালেদা জিয়ার সঙ্গে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলার আসামি। ১৯৯৪ সালে মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনে কাজী সালিমুল হক কামালকে নির্বাচিত করাতে ক্ষমতাসীন বিএনপির বিরুদ্ধে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। এই নির্বাচনের জের ধরে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের ব্যাপক আন্দোলনের ফলে পরবর্তীতে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি আসে। পরবর্তীতে ২০০১ সালের নির্বাচনে একই আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন এবং ওই বছর তিনি মাগুরা জেলা বিএনপির সভাপতি হন। এদিকে বিএনপির কমিটি ঘোষণার পরপরই ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে মোসাদ্দেক আলী ফালু ও সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম পদত্যাগের ঘোষণা দেন।