সম্পাদকীয়: তাহলে গণমাধ্যম কি ধরণের সংবাদ দিবে!

Slider জাতীয় সম্পাদকীয় সারাদেশ

file (2)

 

 

যে সংবাদ দেশ, সরকার ও জনগনের ক্ষতি করে সেগুলো প্রকাশ করতে নিষেধ করেছেন স্বাষ্ট্রমন্ত্রী। গণমাধ্যম কর্মীরা এত নীচে নামেনি যে নিজের গাঁয়ে কামড় দিয়ে সংবাদ করবে। যারা নিজের গাঁয়ে কামড় দেয় তাদের মানুষ পাগল বলে। তাই গণমাধ্যম কর্মীরা পাগল নয় যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার বরখেলাপ করবে।

বলা হচ্ছে, গুরুতর অপরাধ নিয়ন্ত্রনে অভিযান চলাকালীন সময়ে সরাসরি সম্প্রচার না করতে। প্রাকৃতিক দূর্যোগেও সরাসরি সম্প্রচারে আপত্তি আসছে। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন না করতেও বলা হচ্ছে। অপরাধ সংক্রন্ত খবর প্রকাশে সতর্ক থাকতে গিয়ে বলা হচ্ছে, তদন্তাধীন বিষয়ে খবর না করলেই ভাল। সম্প্রতি ক্রীড়া অঙ্গন থেকেও বলা হল, খারাপ খবর না দিতে।

গণমাধ্যমকে ধমক দেয়ার যে রীতি চালু হয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ক্রমান্বয়ে সকলেই বলবেন নিজেদের সুবিধাজনক সংবাদ দেয়ার কথা।  ফলে দায়িত্ববানদের কথা মেনে গণমাধ্যম কি ধরণের সংবাদ দিবে তা স্পষ্ট করা উচিত।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সাংবাদিকদের নামে মানহানি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করা বন্ধ রয়েছে। সংবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন অভিযোগ থাকলে তা মামলা হতে পারে। উভয় পক্ষ ন্যায় বিচারের আশা করে। কিন্তু তথ্য প্রযুক্তি আইনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদকে অপপ্রচার বলে যে মামলা গুলো হচ্ছে তাতে সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পঙ্গু সাংবাদিকের হাতে হাতকড়া লাগানোর ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে সংবাদগুলোকে অপপ্রচার বলার আগে তদন্ত করে ঘটনা সঠিক হলে  আদালতে জামিন বাতিলের মাধ্যমে আসামীকে  কারাগারে নিলে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রিুতির সফল বাস্তবায়ন হত।

পর্যালোচনায় দেখা যায়, কোন মৃত্যু সংবাদও কারো জন্য ক্ষতিকর হয়ে যায়। মৃত ব্যাক্তির শত্রুপক্ষ প্রতিপক্ষের মৃত্যুর সংবাদ গণমাধ্যমে দেখলে বিরক্ত হয়ে মানষিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারেন। আবার যে কোন সুখের সংবাদও প্রতিপক্ষের জন্য বেদনাদায়ক হতে পারে। ফলে  গনমাধ্যম কি ধরণের সংবাদ দিবে তা সরকারকে স্পষ্ট করা উচিত। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *