নারায়ণগঞ্জের বন্দরে স্কুলশিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস ও নির্যাতনের ঘটনাকে ‘আকস্মিক’ উল্লেখ করে এ ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। একই সঙ্গে পুলিশের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে শ্যামল কান্তি ভক্ত ও সেলিম ওসমান এই ঘটনার পরিস্থিতির শিকার। এ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরির (জিডি) ভিত্তিতে তদন্ত করে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন আজ হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আলোচিত এই শিক্ষক নির্যাতন ও লাঞ্ছনার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে কাউকে দায়ী করা হয়নি। এমনকি পুলিশকে দেয়া জবানবন্দিতে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত তাকে কান ধরে উঠবস ও লাঞ্ছনার ঘটনায় সেলিম ওসমানকে জড়িয়ে কোনো মন্তব্য করেন নি। প্রতিবেদন গ্রহণ করে ১০ই আগস্ট এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য করেছেন বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
দাখিলকৃত পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন (১৩ই মে) স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন সেøাগান দেয়। তখন পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। ওই শিক্ষককে জনতার রোষানল থেকে রক্ষা করতে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে তাকে কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতির শিকার। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়) সংশ্লিষ্ট কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় এটি আকস্মিকভাবে ঘটেছে বলে জানা যায়। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে শিক্ষক শ্যামল কান্তি বলেছেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতার দাবির প্রেক্ষিতে এবং তাদের শান্ত করার জন্য কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে। এতে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কিছুটা শান্ত হয়। আমি এবং সেলিম ওসমান উদ্ভূত ঘটনার পরিস্থিতির শিকার। একটি মিথ্যা গুজব রটানোর কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। কারো বিরুদ্ধে মামলাও করবো না।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের জানান, এই প্রতিবেদনে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তসহ ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। কিন্তু সাক্ষীদের কেউ বলেনি যে, কার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক শ্যামল কান্তিও বলেছেন তিনি এবং সেলিম ওসমান ঘটনার পরিস্থিতির শিকার। তিনি বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আসককে ১০ই আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
দাখিলকৃত পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওইদিন (১৩ই মে) স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান ৩টা ৪৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে উত্তেজিত জনতা প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের বিচারের দাবিতে পুনরায় উত্তেজিত হয়ে বিভিন্ন সেøাগান দেয়। তখন পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। ওই শিক্ষককে জনতার রোষানল থেকে রক্ষা করতে জনতার দাবির প্রেক্ষিতে তাকে কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত ও সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান দুজনই উদ্ভূত ঘটনায় পরিস্থিতির শিকার। এ ঘটনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়) সংশ্লিষ্ট কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ না থাকায় ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় এটি আকস্মিকভাবে ঘটেছে বলে জানা যায়। পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে শিক্ষক শ্যামল কান্তি বলেছেন, উচ্ছৃঙ্খল জনতার দাবির প্রেক্ষিতে এবং তাদের শান্ত করার জন্য কান ধরে উঠবস করার ঘটনাটি আকস্মিকভাবে ঘটে। এতে উচ্ছৃঙ্খল জনতা কিছুটা শান্ত হয়। আমি এবং সেলিম ওসমান উদ্ভূত ঘটনার পরিস্থিতির শিকার। একটি মিথ্যা গুজব রটানোর কারণে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমি কাউকে দোষারোপ করছি না। কারো বিরুদ্ধে মামলাও করবো না।
প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মোতাহার হোসেন সাজু সাংবাদিকদের জানান, এই প্রতিবেদনে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তসহ ২১ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। কিন্তু সাক্ষীদের কেউ বলেনি যে, কার নির্দেশে এ ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষক শ্যামল কান্তিও বলেছেন তিনি এবং সেলিম ওসমান ঘটনার পরিস্থিতির শিকার। তিনি বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) প্রতিবেদন আদালতের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আসককে ১০ই আগস্ট প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।