চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার বাবুল আকতারের স্ত্রী মিতু হত্যাকান্ডে ব্যালিস্টিক প্রতিবেদন দিয়েছে সিআইডি। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ সুপারের স্ত্রীকে ঘটনার সময় অভিযুক্ত আসামী ভোলার পিস্তল থেকেই গুলি করা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার সিআইডির পরীক্ষাগার থেকে পিস্তল ও গুলির ব্যালিস্টিক পরীক্ষার প্রতিবেদন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের কাছে পাঠানো হয়। রোববার সকালে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বিষয়টি মানবজমিনকে জানান। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোলার কাছ থেকে উদ্ধারকৃত পিস্তল এবং ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত গুলির খোসার ব্যালিস্টিক পরীক্ষায় মিল পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে জব্দকৃত পিস্তলটি দিয়েই মিতুকে গুলি করেছিল বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। মিতু হত্যা মামলায় দ্বিতীয় দফায় পাওয়া রিমান্ডে ভোলাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ভোলা বিষয়টি অস্বীকার করলেও তাতে কিছুই আসে যায় না। কারণ ব্যালিস্টিক পরীক্ষার রিপোর্টই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে। সিআইডির একটি সূত্র জানায়, পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু খুনে ব্যবহৃত গুলি ছোঁড়া হয়েছিল এহতেশামুল হক ভোলার কাছ থেকে উদ্ধার করা পিস্তল থেকেই। গত ৫ই জুন নগরীর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার দিন মিতুর লাশের পাশে পাওয়া গুলির খোসা এবং উদ্ধারকৃত পিস্তলের ব্যালিস্টিক পরীক্ষা থেকেই এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে। ব্যালিস্টিক পরীক্ষা হয়েছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে। সিএমপির কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার দিন মাহমুদা খাতুন মিতুর লাশের পাশ থেকে দুইটি গুলির খোসা এবং গুলি পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে গুলির খোসাগুলো তখনই জব্দ করা হয়। পরে মামলার তদন্ত পর্যায়ে ২৭ জুন রাতে বাকলিয়া থানার রাজাখালী রোডের এরশাদের কলোনীর মনিরের বাসায় অভিযান চালিয়ে খাটের নিচ থেকে একটি পিস্তল, একটি রিভলবার, ম্যাগাজিন ও গুলি উদ্ধার করা হয়।