গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশগুলোর বাহিনীর হামলায় জঙ্গি ও বোমারু বিমান এবং টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। ফাইল ছবি: এএফপিসিরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিদের ওপর প্রথমবারের মতো বিমান হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।
আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল সোমবার পেন্টাগনের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কারবি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি, মার্কিন সেনাবাহিনী ও সহযোগী দেশগুলোর বাহিনী সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের (আইএস) বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চালাচ্ছে। এ হামলায় জঙ্গি ও বোমারু বিমান এবং টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।’
হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি পেন্টাগনের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘শুধু বলতে পারি, অভিযান চলছে। এ মুহূর্তে এর বেশি তথ্য জানানোর মতো অবস্থায় আমরা নেই।’
সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে কোন কোন দেশ অংশ নিয়েছে, এ ব্যাপারে পেন্টাগনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি। তবে এই অভিযানে আরব মিত্ররা সহায়তা করছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানানো হয়।
সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আইএসকে নিমূর্লের লক্ষ্যে তাঁর পরিকল্পনার রূপরেখা তুলে ধরেন। ওই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই সিরিয়ায় আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করা যায়।
ওবামা তাঁর ভাষণে বলেন, আইএস নির্মূলে ইরাকে বিমান হামলা জোরদার করা হবে। পাশাপাশি সিরিয়ায়ও বিমান হামলা চালাতে দ্বিধা করা হবে না।
গত আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ইরাকে আইএসের লক্ষ্যবস্তুতে ১৯০টি বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দিন কয়েক আগে ইরাকে আইএসের বিরুদ্ধে ফ্রান্সও বিমান হামলা চালিয়েছে।
সিরিয়া ও ইরাকের একটা বড় অংশ নিজেদের দখলে নিয়ে সম্প্রতি ‘খেলাফত’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে আইএস। জঙ্গিগোষ্ঠীটিকে থামাতে দেশ দুটির সরকার কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। গণহত্যা, শিরশ্ছেদ, ধর্ষণ, অপহরণের মতো সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে বিশ্ববাসীকে হতবাক করে দিয়েছে সংগঠনটি।