শাজনীন হত্যা: শহীদের মৃত্যুদণ্ড বহাল, বাকি ৪ আসমি খালাস

Slider বাংলার আদালত

file

 

ট্রান্সকম গ্রুপের কর্ণধার লতিফুর রহমানের মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানকে হত্যার দায়ে হাইকোর্টে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হওয়া পাঁচ আসামির মধ্যে একজনের সাজা বহাল রেখে চারজনকে খালাস দিয়েছে আপিল বিভাগ।
আজ হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের করা আপিল ও  জেল আপিলের শুনানি করে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার  নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেয়। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া একমাত্র আসামি হলেন শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ। আর খালাস পাওয়া ৪ আসামি হলেন সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন।
২০০৩ সালে বিচারিক আদালত এ মামলায় মোট ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড  দেয়। ২০০৬ সালে হাইকোর্ট পাঁচজনের সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল  রেখে একজনকে খালাস দেয়।  বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোবিন জানান, আপিল বিভাগ যাদের রায় দিয়েছে তাদের পাঁচজনই কারাগারে আছেন।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, লতিফুর রহমানের মেয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী শাজনীন তাসনিম রহমান ১৯৯৮ সালের ২৩শে এপ্রিল রাতে গুলশানে নিজের বাড়িতে খুন হন। এ মামলায় ২০০৩ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী রহমতউল্লাহ শাজনীনকে ধর্ষণ ও খুনের পরিকল্পনা এবং সহযোগিতার দায়ে তাদের বাড়ির সংস্কার কাজের দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদার সৈয়দ সাজ্জাদ মইনুদ্দিন হাসানসহ ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। অপর পাঁচ আসামি হলেন- গৃহপরিচারক শহীদুল ইসলাম (শহীদ), হাসানের সহকারী বাদল, গৃহপরিচারিকা দুই  বোন এস্তেমা খাতুন (মিনু) ও পারভীন এবং কাঠমিস্ত্রি শনিরাম মণ্ডল। আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য (ডেথ রেফারেন্স) ওই বছরই হাইকোর্টে আসে। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল করেন। ডেথ  রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০০৬ সালের ১০ই জুলাই হাইকোর্ট মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হাসান, শহীদ, বাদল, মিনু ও পারভীনের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে। ফাঁসির আদেশ পাওয়া অপর আসামি শনিরাম মণ্ডল খালাস পান। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন (লিভ টু আপিল) করেন মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চার আসামি মইনুদ্দিন হাসান, বাদল, মিনু ও পারভীন। ২০০৯ সালের ২৬ এপ্রিল এই চার আসামির লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) মঞ্জুর করে আপিল বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *