সাদিয়া আফরিন অভিনেত্রী
গ্রামবাংলানিউজ২৪.কম
ঢাকা: জনাব ইমরুল শাহেদকে ধন্যবাদ,আমার মতো সামান্য একজনকে নিয়ে তার বিশাল লেখার জন্য।আমি চাইলে ব্যাপারটা এ্যাভোয়েড করতে পারতাম।কিন্তু,দায়িত্ববোধ থেকে আমার মনে হচ্ছে উত্তর না দেওয়াটা আমার ভক্তদের সাথে বিশ্বাস ঘাটকতার সামিল হবে।
প্রথমত,তিনি বলেছেন, ‘যার বিয়া তার খবর নাই, পাড়া-পড়শির ঘুম নাই।’ কিন্তু আমি যে প্রশ্ন উঠিয়েছি,তা হলো একজন সাংবাদিকের ইথিকস্ নিয়ে।যেই সাংবাদিক আইটেম গার্লকে এতো অপছন্দ করে,সে কি করে একজন আইটেম গার্ল সম্পর্কে পজেটিভ রিপোর্ট করে?
আমি নিজেকে একজন অভিনেত্রী ভাবি।কিন্তু অবশ্যই কোন বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ভাবি না।কিন্তু,যেহেতু রিপোর্টে আমার নাম এসেছে,আমি উত্তর না দিলে,নিজের কাছেই নিজেকে ছোট মনে হবে।আমি কখনও কার সাথে ঝগড়া করতে উৎসাহী নই।আমি যথেষ্ট বিনয়ের সাথে প্রতিবাদ করেছি।সংবাদের প্রতিবাদ করা সকল ভিকটিমের রাইটস আছে।যা সাংবাদিকতারই টার্মস।
জনাব ইমরুল শাহেদ আমার পড়াশুনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।এই ব্যাপারে আমি তাকে একটা চেলেঞ্জ দিতে চাই।ইমরুল শাহেদ যদি কোন ব্যক্তিত্ববান পুরুষ এবং সত্যিকারে সাংবাদিক হয়,তবে আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে আশা করছি।আমি শতভাগ প্রমাণ করে দিব,আমার পড়াশুনার ব্যাপারে।আর উনি প্রমাণ করবেন আমার পড়াশানার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলা বান্ধবী সত্যি বলেছে।উনি প্রমাণ করতে না পারলে,আশা করি সাংবাদিকতা এবং মিডিয়া ছেড়ে দিবেন।এটাই চ্যালেঞ্জ।
আর তাড়াহুড়া করে লিখতে গেলে বানান ভুল হতেই পারে।আর অনলাইনে সবাই সংক্ষেপেই লিখে।
আমার ভক্তদের ব্যাপারেও ইমরুল শাহেদ প্রশ্ন তুলেছে।তাকে জানাতে চাই,ভক্তদের নিয়েই আমি সাদিয়া।ইমরুল শাহেদের যেহেতু কোন ভক্ত নেই,সবাই শত্রু,তাই তার এতে গাত্রদাহ হচ্ছে।
হলুদ সাংবাদিকতা কাকে বলে,তার একটি সর্বজনীন ধারনা আছে।ইমরুল শাহেদ আশা করি নতুন কিছু দাড় করাবেন না।কেননা, তিনি আমার জানা মতে কখনও প্রথম শ্রেনীর কোন পত্রিকায় কাজ করেন নি।
আরো অনেক কিছু বলার ছিল।কিন্তু আমার সব কথা বলে মানুষের বিরক্ত উৎপাদন করতে চাই না।