উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে চলমান বন্যার পানি সাগরে নামার সময় মধ্য ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলা নতুন করে প্লাবিত হওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
আজ শনিবার মহাখালীতে অধিপ্তরের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ও তা মোকাবেলায় সরকারের নেয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. শাহ কামাল।
তিনি বলেন, ‘যেসব নদীর পানি বেড়েছিল, সেগুলো দুয়েকদিনের মধ্যে কমে আসতে শুরু করবে। এই পানি বঙ্গোপসাগরে যাওয়ার সময় রাজবাড়ী, ফরিদুপর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল জেলার প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
তিনি জানান, উজান থেকে নামা ঢল ও বৃষ্টির পানিতে দেশের ১৬টি জেলার ৫৯টি উপজেলা এখন বন্যাকবলিত।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৯ জুলাই পর্যন্ত বন্যায় তিন লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৬টি পরিবারের মোট ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬১৫ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; নয় হাজার ৩১৪টি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণ এবং ১২ হাজার ৩৭১টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত।
বন্যায় এখন পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে রংপুরে একজন, কুড়িগ্রামে দুইজন, গাইবান্ধায় চারজন এবং জামালপুরে সাতজন।
সংবাদ সম্মেলনে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘দুর্গত এলাকায় ত্রাণের কোনো অভাব নেই। ৫ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত দুর্গত এলাকায় ১৩ হাজার মেট্রিক টন চাল দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো জানান, এছাড়া সাড়ে পাঁচ কোটি নগদ টাকাও ছাড় করা হয়েছে।