রাজধানীর কল্যাণপুরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত ব্যক্তিরা আসলেই জঙ্গি কি না, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল আলোচনায় খন্দকার মোশাররফ তাঁর সংশয়ের কথা জানান। ব্যারিস্টারস ফর চেঞ্জ নামের একটি সংগঠন ‘সাপ্লিমেন্টারি ক্রেডিট কার্ড এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলার ক্ষেত্রে এর প্রভাব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, কল্যাণপুরে আসলে কী ঘটনা ঘটেছে, তা তিনি জানেন না। তবে তারা জঙ্গি হলে সামনাসামনি গোলাগুলি করে মারা যাওয়ার কথা। কিন্তু ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে পেছন থেকে গুলি লেগে।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, সরকার প্রকৃত জঙ্গিদের না ধরে দোষারোপের রাজনীতি করছে। বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করছে। কিন্তু গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের একজন আওয়ামী লীগের নেতার ছেলে। বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে হুমকি দিয়েছে সাবেক সচিব শফিউর রহমানের ছেলে। শফিউর মহীউদ্দীন খান আলমগীরের সঙ্গে জনতার মঞ্চ করেছিলেন। কল্যাণপুরে যারা মারা গেছে, তাদের একজন আওয়ামী লীগের নেতার ছেলে। মোশাররফ বলেন, যদি এরা বিএনপি বা জামায়াত নেতার ছেলে হতো, তাহলে আকাশ-পাতাল হয়ে যেত।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, তাঁরা সব দলকে আহ্বান জানাবেন। আওয়ামী লীগ বা তাদের সমমনা দলগুলো না এলে জনগণ তাদের জন্য অপেক্ষা করবে না।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, তারেক রহমানের সাজার প্রতিক্রিয়ায় যেসব কর্মসূচি চলছে, তা বিএনপির মূল আন্দোলনের অংশ। খালেদা জিয়া বা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সাজা দিয়েও জঙ্গিবাদ প্রতিহত করা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন থামানো যাবে না। তিনি দাবি করেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকা এবং মানুষের কথা বলার অধিকার না থাকায় জঙ্গিবাদের উত্থান হচ্ছে। আর সরকার জঙ্গিবাদ দমনে আন্তরিক নয়। এ কারণে জীবিত সন্দেহভাজনদের ধরার পর বন্দুকযুদ্ধের নামে তাদের হত্যা করা হচ্ছে।
ব্যারিস্টারস ফর চেঞ্জের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য দেন।