ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর তুরস্কে এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। এর আওতায় সংবাদপত্র, টেলিভিশন, রেডিও সহ ১৩১টি মিডিয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে ৪৫টি সংবাদপত্র, ১৬টি টেলিভিশন স্টেশন ও তিনটি সংবাদ সংস্থা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই ও রয়টার্স। সিএনএন এক রিপোর্টে বলেছে, ৮৭ জন জেনারেল সহ প্রায় ১৭০০ সেনা সদস্যকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এর আগে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, অভ্যুত্থান চেষ্টায় যে হুমকি এসেছে তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তারপর থেকে বেশ কয়েক হাজার কর্মকর্তাকে হয়তো বরখাস্ত করা হয়েছে না হয় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সপ্তাহে সেখানকার সম্প্রচার বিষয়ক কর্তৃপক্ষ দু’ডজন রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টার মূলহোতা বলে চিহ্নিত ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে এদের সম্পর্ক রয়েছে। সব মিলিয়ে তুরস্কে ১৩১টি মিডিয়া ও প্রকাশনা সংস্থাকে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বুধবার তুরস্কে দমনপীড়ন তীব্র আকার ধারণ করে। এদিন সেখানে ১৭০০ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই দিন ওইসব মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। গত ১৫ই জুলাইয়ের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর পুলিশ, বিচারক, শিক্ষক সহ কয়েক হাজার মানুষকে বরখাস্ত করা হয়েছে বা তদন্তের অধীনে রাখা হয়েছে। তুরস্কের অভিযোগ, ওই অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী গুলেন। তিনি স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভ্যানিয়াতে নির্বাসনে রয়েছেন। তুরস্কে তার রয়েছে বিপুল সংখ্যক অনুসারী। তিনি বিপুল সংখ্যক স্কুল পরিচালনা করেন। এসব স্কুল এরই মধ্যে সরকার বন্ধ করে দিয়েছে। গুলেনকে অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করা হলেও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বুধবার সরকার অসম্মানজনকভাবে ১৬৮৪জন সেনা সদস্যকে বিদায় করে দিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৯ জনই জেনারেল অথবা এডমিরাল। এদিন আটক করা হয়েছে ৪৭ জন সাংবাদিককে। বর্তমানে অকার্যকর জামান সংবাদপত্রের কলামনিস্ট ও অন্য স্টাফরা রয়েছেন এর মধ্যে। গত মার্চে কর্তৃপক্ষ এ পত্রিকাটি বন্ধ করে দেয়।