ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপির নেতারা। বৈঠকে সাম্প্রতিক বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসহ দেশে বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। এ বৈঠক সম্পর্কে বিএনপি গণমাধ্যমকে কিছু জানায়নি। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, জার্মানি, জাপান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, পাকিস্তান, নরওয়ে এবং জাতিসংঘ মিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, খন্দকার মাহবুব হোসেন, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন প্রমুখ।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কূটনীতিকদের একটি লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাতে চলমান সন্ত্রাস ও জঙ্গি হামলা, এই পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষ থেকে নেওয়া জাতীয় ঐক্যের উদ্যোগ এবং তা নিয়ে সরকারের নেতিবাচক আচরণ, জঙ্গিবাদের জন্য ঢালাওভাবে বিরোধী দলকে দায়ী করার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির একজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের অবহিত করা হয়েছে যে সরকার বিভিন্ন ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতাদের সাজা দিয়ে একটি মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজনের অপচেষ্টা করছে। আমরা বলেছি, এতে বিরাজমান সমস্যা দূর হবে না বরং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
বৈঠকে উপস্থিত অপর একটি সূত্র জানায়, ‘জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক এ বক্তব্যের ব্যাপারে একজন কূটনীতিক বিএনপির মত জানতে চান। জবাবে বিএনপির নেতারা বলেন, এই মুহূর্তে বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে জনপ্রিয় দল। বিএনপিকে এর বাইরে রেখে জা