অর্থ পাচার মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের প্রতিবাদে আগামীকাল সোমবার বগুড়ায় অর্ধবেলা হরতালের ডাক দিয়েছে জেলা বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে শহরের নওয়াবাড়ি সড়কের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি সভা ডেকে এই হরতালের ডাক দেন জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
তবে কোনো প্রকার আলাপ-আলোচনা এবং পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ করে এক ঘণ্টা আগে জরুরি সভা ডেকে এই হরতাল দেওয়ায় কর্মসূচির সফলতা নিয়ে সন্ধিহান দলের নেতা–কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তারেক রহমানের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে গত বুধবার কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতেও দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ হয়। তবে সেখানে সোমবারের হরতাল কর্মসূচি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
জেলা বিএনপির একাধিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দলীয় ফোরামে আলোচনা ছাড়াই জেলা বিএনপির সভাপতি হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার একক সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য তিনি মুঠোফোনে গুটি কয়েক নেতাকে আজ দুপুরের পর জেলা বিএনপির কার্যালয়ে তাৎক্ষণিক জরুরি সভায় আসতে বলেন। সেখানে আগে থেকেই জেলা যুবদলের প্রতিবাদ সমাবেশ চলছিল। এরপর বিকেল পৌনে চারটার দিকে জরুরি সভা শেষে জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মাইকে সোমবারের আধা বেলা হরতাল কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা বলেন, তিন বছর আগেও বগুড়া বিএনপি হরতালের ডাক দিলে তা স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালিত হয়েছে। তখন মাইকিং করে শহরবাসীকে হরতালের কথা জানিয়ে দেওয়া হতো। অথচ এখন ‘চুপিচুপি’ হরতাল ডাকা হচ্ছে। শহরবাসী দূরে থাক, দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরাও এই হরতাল সম্পর্কে জানেন না।
বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার বলেন, জেলা বিএনপির হরতাল কর্মসূচি নিয়ে যুবদলের সঙ্গে কোনো আলাপ হয়নি। বিএনপির নেতা–কর্মীরা হরতালে মাঠে থাকলে যুবদলও তাঁদের সঙ্গে থাকবে।
জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, দুপুরের পর তাৎক্ষণিক হরতালের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ কারণে জরুরি সভা ডেকে হরতালের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যেহেতু কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে, সেহেতু নেতা–কর্মীদের কাজ হবে হরতাল সফল করা।
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান রাতে বলেন, কেউ শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে চাইলে পুলিশ কোনো প্রকার বাধা দেবে না। তবে হরতালের নামে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে।