ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, সমপ্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হামলার গুজব ছড়িয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। গুজব ছড়ানো ফৌজদারি অপরাধ। এই গুজব সৃষ্টিকারীদের জঙ্গি মদতদাতা হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি কুচক্রী মহল সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা প্রচার করে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, অমুক শপিং মলে হামলা হবে। এগুলো আসলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য করা হচ্ছে। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তবে কারও কাছে হামলার কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি চক্র ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের জন্য নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়াও কিছু কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জঙ্গিরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এই ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের লিংকগুলো চিহ্নিত করেছি। তবে এসবের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। এসব বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আতঙ্কের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো শহরে নিরাপত্তার জাল বিছানো হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ কোনোভাবেই হতে দেব না। সবাইকে নিয়ে জঙ্গি কুলাঙ্গারদের শেকড় উৎপাটন করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলা-মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জঙ্গিদের তিনটি আস্তানা পেয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। সবমিলিয়ে মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তাধীন মামলায় কিছু তথ্য থাকে যা প্রকাশ করা যায় না। তা প্রকাশিত হলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জড়িতরা পালিয়ে যায়। তাই সবকিছু প্রকাশ করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।
এই মামলার তদন্ত সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, গুলশানে হামলাকারী ছিল ছয় জন। তারা ‘ইন অ্যাকশনে’ মারা গেছে। কিন্তু যারা রিক্রুটমেন্ট, প্রশিক্ষণ, অর্থ ও আশ্রয় দেয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আমরা চারজন সন্দেহভাজনের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেছি। এছাড়া, যারা বাসা ভাড়া দেয়ায় সাহায্য করেছিলো তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ঘটনায় অনেকে জড়িত থাকে। একটা হামলার কতগুলো পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায় হলো তাদের একত্রিত করা। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, তাদের মগজ ধোলাই বা ব্রেন ওয়াশ করা। পরে তাদের ইকুইপমেন্ট দেয়া বা প্রশিক্ষণ দেয়া। এরপর তাদের আশ্রয় দেয়া এবং সরঞ্জামাদির সাপ্লাই দেয়া। এরপরেই অ্যাটাক করা হয়।
গুলশানের কূটনীতিকপাড়াসহ বনানী-বারিধারা-নিকেতন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশানের কূটনৈতিক জোনে বিদেশিদের নিরাপত্তায় ৩০টি এসি বাস এবং ২শ’ বিশেষ রঙের রিকশা নামানো হচ্ছে। ওই এলাকায় লেকের আশপাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশের কিছু পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই এলাকা সিসিটিভি’র আওতায় আনা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি মনিটরিং করছে পুলিশ। শুধু গুলশান না পুরো রাজধানীতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চেকপোস্ট, তল্লাশি, মোবাইল-ফুট-ভেহিক্যাল পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জঙ্গি হামলার গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পুলিশের
জঙ্গিবাদের গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শপিংমল, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি- বেসরকারি অফিস ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য জনসমাগমস্থলে জঙ্গি হামলার খবর নিতান্তই গুজব, বিভ্রান্তি। জঙ্গিবাদের এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স অনুরোধ জানাচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো আশঙ্কা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেই জনগণকে সতর্ক করা হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনমনে অহেতুক ভীতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এ জাতীয় কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। কোনো ব্যক্তি যদি এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইভাবে জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে অথবা কারও বিষয়ে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ হলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসহ অন্যান্য ঘটনায় সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে সহায়ক হবে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের বেশকিছু আস্তানা শনাক্ত করেছে এবং এ বিষয়ে অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ বদ্ধপরিকর।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি কুচক্রী মহল সোশ্যাল মিডিয়া, ওয়েবসাইট, ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তারা প্রচার করে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলা হবে, অমুক শপিং মলে হামলা হবে। এগুলো আসলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করার জন্য করা হচ্ছে। তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায়। তবে কারও কাছে হামলার কোনো তথ্য থাকলে তা পুলিশকে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের চেষ্টা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি চক্র ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণদের মগজ ধোলাইয়ের জন্য নানা ধরনের প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়াও কিছু কিছু ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জঙ্গিরা প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে এই ওয়েবসাইট ও ফেসবুকের লিংকগুলো চিহ্নিত করেছি। তবে এসবের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। এসব বন্ধ করে দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তিনি।
আতঙ্কের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো শহরে নিরাপত্তার জাল বিছানো হয়েছে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কাজ কোনোভাবেই হতে দেব না। সবাইকে নিয়ে জঙ্গি কুলাঙ্গারদের শেকড় উৎপাটন করা হবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলা-মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জঙ্গিদের তিনটি আস্তানা পেয়েছি। গুরুত্বপূর্ণ আলামত পেয়েছি। সবমিলিয়ে মামলার তদন্তে অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তাধীন মামলায় কিছু তথ্য থাকে যা প্রকাশ করা যায় না। তা প্রকাশিত হলে মামলার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জড়িতরা পালিয়ে যায়। তাই সবকিছু প্রকাশ করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।
এই মামলার তদন্ত সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, গুলশানে হামলাকারী ছিল ছয় জন। তারা ‘ইন অ্যাকশনে’ মারা গেছে। কিন্তু যারা রিক্রুটমেন্ট, প্রশিক্ষণ, অর্থ ও আশ্রয় দেয়ার সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে আমরা চারজন সন্দেহভাজনের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেছি। এছাড়া, যারা বাসা ভাড়া দেয়ায় সাহায্য করেছিলো তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ঘটনায় অনেকে জড়িত থাকে। একটা হামলার কতগুলো পর্যায় থাকে। প্রথম পর্যায় হলো তাদের একত্রিত করা। দ্বিতীয় পর্যায় হচ্ছে, তাদের মগজ ধোলাই বা ব্রেন ওয়াশ করা। পরে তাদের ইকুইপমেন্ট দেয়া বা প্রশিক্ষণ দেয়া। এরপর তাদের আশ্রয় দেয়া এবং সরঞ্জামাদির সাপ্লাই দেয়া। এরপরেই অ্যাটাক করা হয়।
গুলশানের কূটনীতিকপাড়াসহ বনানী-বারিধারা-নিকেতন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গুলশানের কূটনৈতিক জোনে বিদেশিদের নিরাপত্তায় ৩০টি এসি বাস এবং ২শ’ বিশেষ রঙের রিকশা নামানো হচ্ছে। ওই এলাকায় লেকের আশপাশ দিয়ে পায়ে হেঁটে প্রবেশের কিছু পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনা করেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই এলাকা সিসিটিভি’র আওতায় আনা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা সিসিটিভি মনিটরিং করছে পুলিশ। শুধু গুলশান না পুরো রাজধানীতেই নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। চেকপোস্ট, তল্লাশি, মোবাইল-ফুট-ভেহিক্যাল পেট্রোল বৃদ্ধি করা হয়েছে। পাড়া-মহল্লায় সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
জঙ্গি হামলার গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ পুলিশের
জঙ্গিবাদের গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। গতকাল পুলিশ সদর দপ্তর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শপিংমল, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি- বেসরকারি অফিস ভবন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য জনসমাগমস্থলে জঙ্গি হামলার খবর নিতান্তই গুজব, বিভ্রান্তি। জঙ্গিবাদের এ ধরনের গুজবে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য জনসাধারণের প্রতি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স অনুরোধ জানাচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার মতো কোনো আশঙ্কা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকেই জনগণকে সতর্ক করা হবে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা একেএম কামরুল আহছান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সকলকে অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, ফেসবুক, ইউটিউব, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জনমনে অহেতুক ভীতি ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এ জাতীয় কোনো ধরনের গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকুন। কোনো ব্যক্তি যদি এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইভাবে জঙ্গি কার্যক্রমের জন্য কোনো ব্যক্তি নিখোঁজ থাকলে অথবা কারও বিষয়ে জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়া সম্পর্কে সন্দেহ হলে তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় সম্প্রতি গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনাসহ অন্যান্য ঘটনায় সব ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। যা ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে সহায়ক হবে। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের বেশকিছু আস্তানা শনাক্ত করেছে এবং এ বিষয়ে অন্যান্য আইনানুগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করে এতে বলা হয়েছে, জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে যে কোনো অরাজক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ বদ্ধপরিকর।