দেশী বিদেশী নাগরিক হত্যা হওয়ার পর আমরা ঘোষনা না করলেও পরিস্থিতি বলছে এটি জাতীয় দূর্যোগ। কারণ আমরা তা বন্ধ করতে পারছি না। একের পর এক চলছে টার্গেট কিলিং। এক বা একাধিক নাগরিককে হত্যা করা হচ্ছে। তাও দেশী ও বিদেশী। স্বাধীনতার পর এই ধরণের বিদেশী নাগরিক হত্যার মত নেক্কারজনক ঘটনা আর ঘটেনি। এই ঘটনাটি বিশ্ব মিডিয়ায় এমন ভাবে প্রচারিত হয়েছে যে আমরা সকলের কাছে লজ্জিত হয়েছি। আমরা এখন মুখ দেখাতেও পারছি না। লজ্জায় মাথা নষ্ট। কিন্তু এরপরও আমাদের লজ্জা হচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতি বলছে আমরা ভাল নেই। আমাদের মন্ত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায়। এমপিরা গ্যান ম্যান চাচ্ছেন। তারপরও আমরা বিচলিত নই। আমাদের রাজনৈতিক হিংসা হানাহানি বন্ধ হয় না। আমরা ডাহা মিথ্যা কথা বলছি। এই মিথ্যা যদি চলতে থাকে তবে আমাদের দেশ মহাবিপর্যয়ের মুখে পড়বে। কিন্তু আমরা তা জেনেও মিথ্যাচার করছি। আমরা অহংকার করছি।
সম্প্রতি জঙ্গী হামলা মোকাবেলায় রাজনৈতিক দল গুলোর মধ্যে তুমুল বিতর্ক চলছে। ঐক্য আর জাতীয় ঐক্য নিয়ে। আওয়ামীলীগ আর বিএনপির বক্তব্য শুনলে মনে হয় বাংলাদেশের সকল নাগরিক বোকা ও অশিক্ষিত। জাতীয় ঐক্য আর ঐক্যের মধ্যে কি পার্থক্য মনে হয় আমরা তা বুঝি না। ক্ষমতায় থাকা আর যাওয়ার জন্য ঐক্যের শাব্দিক অর্থই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে।
অবস্থা দৃষ্টে মনে হয়, ঐক্যও দুই ভাগে ভাগ হয়ে যাচ্ছে। বিএনপির ঐক্য ও আওয়ামীলীগের ঐক্য। যদি তাই হয় তাহলে জাতীয় ঐক্য হল কি ভাবে! রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ হলে তাকে জাতীয় ঐক্য বলে। মাননীয় রাজনীতিবিদরা আপনারা যদি মনে করেন সাধারণ নাগরিকেরা বোকা ও অশিক্ষিত মূর্খ তবে ভুল করবেন।
মনে রাখতে হবে, আপনাদের জন্য যারা প্রাণ দেয় তারা সাধারণ নাগরিক। সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিমিয়ে আপনারা ক্ষমতায় আছেন আর যাচ্ছেন। সুতরাং এমন দূর্যোগপূর্ন সময়ে জাতীয় ঐক্য করতে যদি নাই পারেন তবে ঐক্য শব্দটি ব্যাকরণ থেকে সরিয়ে দিয়েন না। কারণ এই শব্দটি আপনারা তৈরী করেননি।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম