দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ১০ লাখ

Slider জাতীয় বাংলার মুখোমুখি

23412_thumbS_f5

 

দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ১০ লাখ। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী। তাই জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমাতে কিশোর-কিশোরীদের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালনকে সামনে রেখে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতি বছর ১১ই জুলাই বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করে বাংলাদেশ। এবার পবিত্র রমজান ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১১ই জুলাইয়ের পরিবর্তে ২১শে জুলাই বাংলাদেশে জনসংখ্যা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। জনসংখ্যা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘কিশোরীদের জন্য বিনিয়োগ, আগামী প্রজন্মের সুরক্ষা।’ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশের জনসংখ্যা এখন ১৬১ মিলিয়ন (১৬ কোটি ১০ লাখ)। মোট প্রজনন হার এখনো ২ দশমিক ৩। এ হার ২-এ নামিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। মোট জনসংখ্যার ৩১ শতাংশ তরুণ প্রজন্ম। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, দেশে সাড়ে চার কোটি কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী রয়েছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে সরকার এখন কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে। আমরা মনে করি, যদি তাদের স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দেয়া যায়, তাহলে দেশের জনসংখ্যা আর বাড়বে না। সরকার মেয়েদের সব ক্ষেত্রে চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করেছে। শিক্ষায় অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে, সমাজে শিক্ষিত মা তৈরি হলে একদিকে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমে আসবে, অন্যদিকে জনসংখ্যাও বাড়বে না।’ কিশোর-কিশোরীর স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে দেশের ১০০টি সেবাকেন্দ্রে কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান। বহু বছর ধরে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার একই জায়গায় আটকে আছে। আগের মতো বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার কোনো সেবা দেয়া হয় না। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ৩ থেকে ২-এ নামিয়ে আনার লক্ষ্যে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিবার পরিকল্পনার সেবা দেয়া বন্ধ করা হয়নি। আগের চেয়ে এখন যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক ভালো হওয়ায় লোকজন নিজেরাই সেবাকেন্দ্রে চলে আসেন। বাড়ি বাড়ি যাওয়ার ততটা প্রয়োজন হয় না। এর পরও প্রয়োজন হলে বাড়ি বাড়ি যাওয়া আরও বাড়ানো হবে। উঠতি বয়সী সন্তানের দিকে বিশেষ খেয়াল রাখার জন্য মা-বাবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার ঘটনায় আমরা দেখতে পেয়েছি, বিপথগামী তরুণেরা এতে জড়িত ছিল। মা-বাবাকে সতর্ক থাকতে হবে তাদের সন্তান কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেলামেশা করে।’ গুলশান হামলায় জড়িত তরুণরা বিশেষ মাদক ব্যবহার করেছিল বলে যে তথ্য পাওয়া গেছে, এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দেখার বিষয়। তরুণদের মাদক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সাংবাদিকদের  প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জঙ্গি হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা রোগটা ধরতে পেরেছি, জঙ্গিদের যথাযথ ওষুধ দেওয়া হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সতর্কতামূলক এসএমএস পেয়েছেন কি না- জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, আমি এসএমএস দেখিনি, পত্রপত্রিকায় মারফত জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আপনারা যতটুকু জানানে আমিও ততটুকু জানি। এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যসচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ওয়াহিদ হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক  অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *