কাঁদলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। অভ্যুত্থান চেষ্টা ঠেকাতে গিয়ে নিহত হয়েছেন এমন কয়েকজনের দাফনের আনুষ্ঠানিকতায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন রোববার সন্ধ্যায়। তার সামনে জাতীয় পতাকায় ঢাকা মৃতদেহ আনার সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন। দু’হাতে মুখ চেপে ধরেন। এ সময় তিনি নিজেকে সংবরণ করতে পারছিলেন না বলে খবর দিয়েছে লন্ডনের দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকা। এতে বলা হয়, ইস্তাম্বুলে একটি মসজিদে দাফনের আনুষ্ঠানিকতা হয়। সেখানে তার সরকারের অন্য সদস্যদের নিয়ে তিনি হাজির হন। মৃতদেহ তার সামনে আনার পর এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আত্মীয়-স্বজনরা বাধভাঙ্গা কান্নায় ভেঙে পড়েন। উপস্থিত জনতার মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ে। পুরো এলাকা শোকে ছেয়ে যায়। এক পর্যায়ে নিজেকে সংবরণ করেন এরদোগান। তিনি এ হত্যার বদলা নেয়ার ঘোষণা দেন। প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে যেসব ভিন্ন মতাবলম্বী আছে তাদেরকে পরিষ্কার করা হবে। এর আগে তার সরকার অভ্যুত্থান পরবর্তী কমপক্ষে ৬০০০ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে রয়েছেন দেশটির শীর্ষ ২৯ জন জেনারেল। শুক্রবার রাতের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে নিহত হন কমপক্ষে ২৯০ জন। এর একজন যুবকের পিতা এরল ওলকাক। তিনি এরদোগানের পুরনো বন্ধু ও রাজনৈতিক মিত্র। তার ছেলের দাফন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দীর্ঘসময় আবেগপ্রবণ থাকেন এরদোগান। তিনি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন। এর আগে তিনি ওই মসজিদে বক্তব্য রাখেন। সেখানে তিনি ফেতুল্লাহ গুলেনের সমর্থকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেন। বলেন তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করা হবে। তার অভিযোগ গুলেন গ্রুপ তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনীকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে তারা যে ভাইরাস ছড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে তা পরিষ্কার করার প্রত্যয় ঘোষণা করেন তিনি।