আজ সকালের পরও রাজধানী ঢাকাসহ দেশের প্রায় সব এলাকায় বৃষ্টি ঝরছে। তবে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকায়। আজ ভোর ছয়টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় রাজধানীতে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। একই সময়ে টেকনাফে ৬৬, ফেনীতে ৫৬, হাতিয়া ও কক্সবাজারে ৩০, সন্দ্বীপে ২৬, চাঁদপুরে ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বলেন, সারা দেশেই মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন বৃষ্টি হবে। আগামীকাল রোববার বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আজকের পূর্বাভাস থেকে জানা গেছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটির বর্ধিতাংশ, বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় ও বঙ্গোপসাগরের কোথাও কোথাও প্রবল সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এসব কারণে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জুন মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। কিন্তু এর একটিও নিম্নচাপে পরিণত হয়নি। এ সময় বাংলাদেশে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু কম সক্রিয় থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগে স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টি হয়েছে। অবশ্য জুলাই মাসে বঙ্গোপসাগরে দু-তিনটি মৌসুমি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, এর মধ্যে দু-একটি লঘুচাপ নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তাই এ সময় স্বাভাবিকের চেয়ে সামান্য বেশি বৃষ্টি হতে পারে। জুলাই মাসে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় স্বাভাবিক বন্যা হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের জুলাই মাসের পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।