বৃটেনের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন মিথ্যাবাদী। তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এমন মন্তব্য করেছেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যঁ-মার্ক আয়রল্ট। বৃহস্পতিবার ইউরোপ ১ রেডিওকে দেয়া এক মন্তব্যে তিনি আরও বলেন, বৃটেনে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রেক্সিট গণভোটে বরিস বৃটিশ জনগণকে মিথ্যা বলেছিলেন। এখন তিনি নিজ দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাপে থাকবেন। পরে ওইদিনই ফ্রান্স দূতাবাসে এক অনুষ্ঠানে কটাক্ষ করা হয় বরিসকে। বিবিসির খবরে বলা হয়, বরিস জনসন বৃটেনের ওই গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বৃটেনকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
গণভোটের পর ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করলে অনেকেই ভেবেছিলেন বরিসই হবেন বৃটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তিনি দলের নেতৃত্বের নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। বুধবার ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরী হিসেবে তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করলে বরিস জনসনকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে তাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী করার সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হয়েছে। অকূটনৈতিকসুলভ আচরণ ও আক্রমণাত্মক মন্তব্যের জন্য পরিচিত বরিস এই পদের জন্য যোগ্য নন বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই। তাদের মধ্যেই একজন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়রল্ট।
তিনি বলেন, ‘আমি বরিসকে নিয়ে শঙ্কিত নই। কিন্তু তাকে আপনারা চেনেন। তিনি গণভোটের প্রচারণার সময় যা করেছিলেন তা-ও সবাই জানেন। তিনি বৃটিশ জনগণকে অনেক মিথ্যা বলেছেন। নিজের দেশকে রক্ষা করতে এখন তার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। ইউরোপের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক স্পষ্ট করার ক্ষেত্রেও আটকে গেছেন তিনি।’ আয়রল্ট আরও বলেন, ‘আলোচনা করার জন্য এমন একজন অংশীদারের প্রয়োজন ছিল যিনি স্পষ্ট, নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য। বৃটিশদের স্বার্থেই আমরা এমন অস্পষ্ট, ধোঁয়াটে পরিস্থিতি চলতে দিতে পারি না।’ আয়রল্টের এমন মন্তব্যের জবাবে বরিস বলেন, ‘এটা অবশ্বম্ভাবী ছিল যে ইউরোপের মন্ত্রিসভার ছাদ থেকে কিছু পলেস্তরা খসে পড়বে। এমন ফলাফল তারা প্রত্যাশা করেননি এবং তারা অকপটে ও মুক্তভাবে তাদের মতামত ব্যক্ত করছেন।’ বরিস আরও বলেন, ‘ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকঘণ্টা আগেই একটি চমৎকার চিঠি পাঠিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, সব খাতে অ্যাংলো-ফ্রেঞ্চ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে আমার সঙ্গে কাজ করার জন্য তিনি কতটা মুখিয়ে রয়েছেন। আমরা সেটাই অর্জন করতে চাই।