ডাউনিং স্ট্রিট ছেড়ে যে বাড়িতে ক্যামেরন

Slider লাইফস্টাইল

22637_b1

 

১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের প্রাসাদোপম বাড়ি ছেড়েছেন ডেভিড ক্যামেরন। নতুন খবর, সদ্যসাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী পরিবারসমেত উঠেছেন আরেক বিলাসবহুল বাড়িতে। এ বছর ছেলেমেয়েদের স্কুল শেষ হওয়া অবধি এখানেই থাকবেন ডেভিড-সামান্থা দমপতি। পশ্চিম লন্ডনের হল্যান্ড পার্কের এ বাড়িটিতে আছে সাতটি শয়নকক্ষ। ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু ও জনসংযোগ ‘মুঘল’ স্যার অ্যালান পার্কার  ১ কোটি ৬৮ লাখ পাউন্ড মূল্যের এ বাড়ির মালিক। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বের হয়ে কোথায় থাকবেন ক্যামেরন পরিবার, এ নিয়ে কিছুটা গুঞ্জন ছিল বৃটিশ মিডিয়ায়। কারণ, নটিং হিলে তাদের ৩৬ লাখ পাউন্ডের বাড়িটিতে এখনও বাস করছেন ভাড়াটিয়ারা। হল্যান্ড পার্ক লন্ডনের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত আবাসিক এলাকার একটি। এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে রয়েছেন সিমন কাওয়েল ও স্যার এলটন জনের মতো তারকারা। এছাড়া রিচার্ড ব্রানসন, রবি উইলিয়ামের বাসও এখানে। সাবেক বৃটিশ ফুটবল তারকা ডেভিড বেকহ্যামকেও প্রতিবেশী হিসেবে পাবেন ক্যামেরন। পাশেই ৩ কোটি ১৫ লাখ পাউন্ডের এক ম্যানসনে থাকেন বেকহ্যাম দম্পতি।
এই আকর্ষণীয় বাড়িটি ২০১৪ সালে কিনেছিলেন স্যার অ্যালান ও তার স্ত্রী ল্যাডি জ্যান হার্মিওন পার্কার। ১৯৮৭ সালের দিকে নিজের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ব্রান্সউইক প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। বৃটিশ রাজনৈতিক অঙ্গনে দলনির্বিশেষে তার প্রভাবশালী বন্ধুর তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে ক্যামেরনের সঙ্গে ব্যক্তিগত সখ্য আলাদা করে চোখে পড়বেই। ক্যামেরন পরিবারের সঙ্গে বেশ ক’বার একত্রে ছুটি কাটিয়েছেন স্যার অ্যালান। এমনকি জ্যান হার্ডম্যানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়েতে আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী কনজারভেটিভ দলের নেতা ক্যামেরন। এছাড়া অ্যালানের ৫০তম জন্মদিনে সম্মানিত অতিথির তালিকায়ও ছিলেন তিনি। এদিকে ক্যামেরনের এক সহযোগী জানিয়েছেন, স্যার অ্যালানের বাড়িতে ‘অল্প ক’দিন থাকবেন ক্যামেরন পরিবার’। ধারণা করা হচ্ছে, তিন সন্তান ন্যান্সি, ইলওয়েন ও ফ্লোরেন্সের স্কুল শেষ হওয়া পর্যন্ত এখানে থাকবেন তারা। ওই সহযোগী আরো জানান, তারা পরে নিজেদের কেনসিংটনের একটি বাড়িতে ফিরবেন। ওই বাড়িটিও ভাড়া দেয়া হয়েছে। এ দুটি বাড়ির পাশাপাশি নিজের সংসদীয় আসন অক্সফোর্ডশায়ারেও একটি কটেজের মালিক ক্যামেরন দমপতি। তবে বাচ্চাদের স্কুল থেকে ওই বাড়ি বেশ দূরে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর ক্যামেরন দমপতিকে দেখা গেছে বাচ্চাকে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আসতে। নিজেদের নীল ল্যান্ড রোভারে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে চড়েছেন। পাহারা দিয়েছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, ক্ষমতা ছাড়লেও সাবেক বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীরা সেপশালিস্ট প্রটেকশন অফিসারদের সুরক্ষা পেয়ে থাকেন।
গতকাল সকালে নটিং হিলের একটি ক্যাফেতে ক্যামেরন পরিবারকে দেখা গেছে তার প্রশাসনেরই অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ণের পরিবারের সঙ্গে ব্রেকফাস্ট সারতে। ক্যামেরনের বিদায়ের পর অসবোর্ণের ঠাঁই হয়নি তেরেসা মে’র নতুন মন্ত্রিসভায়।
তবে ক্যামেরনদের কারণে কিছুটা বিরক্ত হয়েছেন তাদের কিছু নতুন প্রতিবেশী। কারণ, দিনরাত বিপুল পুলিশ পাহারা দিচ্ছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। ক্যামেরনদের ঠিক বিপরীতে বসবাসকারী এক বাসিন্দা বলেন, রাতের বেলায়ও বেশ গমগম থাকে এ এলাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *