টকবগে যুবক তাহমিদ রহমান শাফি। বয়স ত্রিশের কোঠায়। অত্যন্ত মেধাবী শাফি ছিলেন চঞ্চল প্রকৃতির। নেশা ছিল ভ্রমণের। স্নাতক সম্পন্ন করার আগেই কমপক্ষে ১০টি দেশ ভ্রমণ করেছেন। গত বছর মে মাসে তিনি বিয়ে করেন। হানিমুনের কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান। ওই ভ্রমণে তার দুই বন্ধুও সঙ্গী হয়েছিল। কিন্তু হানিমুন থেকে তিনি আর দেশে ফিরেননি। হানিমুনের ১০ দিন পর তার মাকে একবার ফোন দিয়ে বলেছিলেন ‘চলে গেছি নেটওয়ার্কের বাইরে’। এরপর থেকে তিনি স্ত্রীসহ নিখোঁজ। শাফির পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার ৮/এ নম্বর রোডের ১ নম্বর ‘নিসর্গ’ নামে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন শাফি। তিনি একটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর থেকে তিনি বেকার ছিলেন। গত বছরের মে মাসে হানিমুনের কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ওই বাড়িতে একাধিকবার এসেছিলেন। শাফি ও তার পরিবারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন তারা। একজন নম্র ও ভদ্র যুবক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী অবাক। ৩ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শাফির মা সুমাইয়া বেগম ও তার ভাই থাকেন। তৃতীয় তলায় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শামসুল ইসলাম জানান, ছোট থেকে মেধাবী শাফি। ২০০২ সালে শাফি নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে ভর্তি হয়। এরপর এমবিএ করেন। পরে গ্রামীণফোনে যোগ দেয়। গত বছর মে মাসে শাফি কুমিল্লার লাকসাম এলাকার তার পূর্ব পরিচিত এক মেয়েকে বিয়ে করেন।
তিনি আরো জানান, এরপর হানিমুনের কথা বলে শাফি ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি এবং তার স্ত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১০ দিন পর তিনি তার মাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন ‘চলে গেছি নেটওয়ার্কের বাইরে’। যে নম্বরে ফোন দেয়া হয়েছিল তা ইন্টারনেট থেকে। পরে ওই নম্বরে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তিনিও আর ফোন দেননি। তখন থেকে তিনি নিখোঁজ। শাফিদের গাড়িচালক রকিব হোসেন জানান, শাফি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ওই কথা শুনে পুরো পরিবার অবাক। কেননা, তাদের কোনো অভাব-অনটন ছিল না। বিত্তশালী পরিবার। তিনি জানান, পুরো পরিবার এখনও তাদের পথ চেয়ে রয়েছেন। পরিবার চায়, তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। বাড়ির পাশের চা দোকানি রমজান আলী জানান, শাফি প্রায় সময় গাড়িতে চলাচল করতেন। তবে সকাল বেলায় তিনি ব্যায়াম করতেন। খুব কম কথা বলতেন। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে তিনি কথা বলতেন না। কয়েকদিন হলো শুনতে পান যে, তিনি ভ্রমণের কথা বলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশের সদস্যরা তার বাসায় এসেছিল। শাফির বাবা সফিউর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল এলাকায়।
খিলক্ষেত থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের মে মাসে শাফি তার স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান। ভ্রমণের কয়েকদিন পর তারা পরিবারকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন যে, তারা ভালো আছেন। কিন্তু, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তারা নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি আরো জানান, পুলিশের ধারণা, তারা জঙ্গির দলে যোগ দিয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেয়ার জন্য পুলিশ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আইএস প্রচারিত কথিত এক ভিডিও বার্তায় তিন যুবককে বাংলাদেশে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিতে দেখা যায়। তাদের একজন তাহমিদ রহমান শাফি।
রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার ৮/এ নম্বর রোডের ১ নম্বর ‘নিসর্গ’ নামে বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন শাফি। তিনি একটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ২০১১ সালে ওই চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। এরপর থেকে তিনি বেকার ছিলেন। গত বছরের মে মাসে হানিমুনের কথা বলে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে যান।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার লোকজন ওই বাড়িতে একাধিকবার এসেছিলেন। শাফি ও তার পরিবারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছেন তারা। একজন নম্র ও ভদ্র যুবক জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী অবাক। ৩ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় শাফির মা সুমাইয়া বেগম ও তার ভাই থাকেন। তৃতীয় তলায় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক শামসুল ইসলাম জানান, ছোট থেকে মেধাবী শাফি। ২০০২ সালে শাফি নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে ভর্তি হয়। এরপর এমবিএ করেন। পরে গ্রামীণফোনে যোগ দেয়। গত বছর মে মাসে শাফি কুমিল্লার লাকসাম এলাকার তার পূর্ব পরিচিত এক মেয়েকে বিয়ে করেন।
তিনি আরো জানান, এরপর হানিমুনের কথা বলে শাফি ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তিনি এবং তার স্ত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১০ দিন পর তিনি তার মাকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন ‘চলে গেছি নেটওয়ার্কের বাইরে’। যে নম্বরে ফোন দেয়া হয়েছিল তা ইন্টারনেট থেকে। পরে ওই নম্বরে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তিনিও আর ফোন দেননি। তখন থেকে তিনি নিখোঁজ। শাফিদের গাড়িচালক রকিব হোসেন জানান, শাফি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ওই কথা শুনে পুরো পরিবার অবাক। কেননা, তাদের কোনো অভাব-অনটন ছিল না। বিত্তশালী পরিবার। তিনি জানান, পুরো পরিবার এখনও তাদের পথ চেয়ে রয়েছেন। পরিবার চায়, তারা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক। কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগই করা যাচ্ছে না। বাড়ির পাশের চা দোকানি রমজান আলী জানান, শাফি প্রায় সময় গাড়িতে চলাচল করতেন। তবে সকাল বেলায় তিনি ব্যায়াম করতেন। খুব কম কথা বলতেন। প্রয়োজন ছাড়া কারও সঙ্গে তিনি কথা বলতেন না। কয়েকদিন হলো শুনতে পান যে, তিনি ভ্রমণের কথা বলে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছেন। পুলিশের সদস্যরা তার বাসায় এসেছিল। শাফির বাবা সফিউর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাদের গ্রামের বাড়ি সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের পারকুল এলাকায়।
খিলক্ষেত থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, গত বছরের মে মাসে শাফি তার স্ত্রীকে নিয়ে হানিমুনে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে যান। ভ্রমণের কয়েকদিন পর তারা পরিবারকে ফোন দিয়ে বলেছিলেন যে, তারা ভালো আছেন। কিন্তু, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ নেই। তারা নিখোঁজ হয়েছেন। তিনি আরো জানান, পুলিশের ধারণা, তারা জঙ্গির দলে যোগ দিয়েছে। তাদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য নেয়ার জন্য পুলিশ তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আইএস প্রচারিত কথিত এক ভিডিও বার্তায় তিন যুবককে বাংলাদেশে আরও হামলা চালানোর হুমকি দিতে দেখা যায়। তাদের একজন তাহমিদ রহমান শাফি।