কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ গাজীপুরের কালীগঞ্জে আসমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী আটক। অপর দিকে পুলিশ আরো দুটি লাশ উদ্ধার করেছে।
কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, উপজেলার বড়নগর এলাকার মৃত মো. আজমত আলীর (আরজু)র ছেলে মো. আতাউলøাহ লÿীপুর জেলার বিজয় নগর গ্রামের ফয়েজ আহামেদের মেয়ে আসমা আক্তার (২৫)কে দ্বিতীয় বিবাহ করে কালীগঞ্জের বালিগাঁও এলাকায় খোরশেদ মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। অন্যদিকে তার প্রথম স্ত্রী বড়নগর এলাকায় তার বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আতাউলøাহ তার দ্বিতীয় স্ত্রী আসমাকে ছুরিকাঘাত করে ঘরের দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এসময় বাড়ির মালিক খোরশেদ বিষয়টি জানতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস,আই মো. শফিকুল ইসলাম ঘাতক স্বামী মো. আতাউলøাহকে আটক করেন। তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে এ হত্যাকান্ড ঘটেছে তা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর এর সঠিক কারণ বলা যাবে।
কালীগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকসহ ২জনের লাশ উদ্ধার
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মানসিক প্রতিবন্ধী যুবক প্রিন্স(২৪) ও নূর ইসলাম শেখ (৬৫) সহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তুমলিয়া ইউনিয়নের পিঁপড়াশৈর গ্রামের সিমন গমেজের ছেলে প্রিন্স গমেজ (২৪) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকের লাশ গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। প্রিন্স দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভোগ ছিলেন। পুলিশের ধারণা প্রিন্স আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়হরা গ্রামের মৃত আলী আকবর শেখের স্ত্রী ৯দিন আগে মারা যান। ছেলে নুর ইসলাম মায়ের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে ছিলেন। সোমবার রাতের খাবার খেয়ে তিনি নিজ ঘরে ঘুমাতে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি দেখে পরিবারের লোকজন তাকে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে দেখেন ঘরের আড়ার সঙ্গে নূর ইসলাম ঝুলে আছেন। পরে থানায় খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। নূর ইসলাম আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।