আজ সন্ধ্যার পর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় আবিরদের বাসায় গেলে ভবনের প্রধান ফটকে এই প্রতিবেদককে আটকে দেন নিরাপত্তাকর্মী নজরুল ইসলাম। আবিরের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ফটকে থাকা ফোন দিয়ে যোগাযোগ করে দেওয়া হয়। ফোনে সাংবাদিক পরিচয় দিলে আবিরের বাবা সিরাজুল ইসলাম কথা বলতে রাজি হন।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, ছেলেবেলা থেকে আবির চুপচাপ স্বভাবের ছিল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা একটু উচ্ছৃঙ্খল হয়—অনেকের এমন ধারণা থাকলেও আবির তেমনটা ছিল না। ছোটবেলা থেকেই নামাজ পড়ত। হঠাৎ গত মার্চ মাসের ১ তারিখ সে বলে, পড়াশোনা করতে মালয়েশিয়ায় যাবে। আমি বলি, তোমার দুই ভাই অস্ট্রেলিয়ায় থাকে, পড়াশোনা শেষ করে অস্ট্রেলিয়ায় যাও। কিন্তু সে মানতে চায়নি। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে ওই দিন সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়।
এত দিন জিডি করেননি কেন জানতে চাইলে আবিরের বাবা বলেন, ভেবেছিলাম রাগ করে মালয়েশিয়া চলে গেছে, ফিরে আসবে। ও এমন কাজে জড়িয়েছে বুঝতেই পারিনি। গুলশানে রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনার পর সন্দেহ হয়। তারপর জিডি করি।
ছেলের লাশ আনতে যাবেন কি না জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, মার্চের ১ তারিখের পর থেকে তার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ নেই। এখন ও-তো মরেই গেছে। ফেসবুক ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে জানতে পারি, সে শোলাকিয়ায় মারা হয়েছে। এখন বলতে চাই না ও-আমাদের পরিবারের কেউ।
একপর্যায়ে আবিরের বাবা বলেন, ‘আর কোনো বাবার যেন এমন পরিস্থিতিতে পরতে না হয়। সব বাবা-মার কাছে আহ্বান, সন্তানদের খোঁজ নিন। কোথায় যায়, কী করে খোঁজ নিন। কাউকে যেন আমার মতো বিপর্যস্ত হতে না হয়।’