ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের দীর্ঘ দুই বছর পর তার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করলেন।
এদিন বর্তমান মন্ত্রিসভার সদস্য প্রকাশ জাভরেকর পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে এবং ১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর হিসেবে শপথ নিয়েছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তাদের দফতর বণ্টন করা হয়নি।
নতুন এই ১৯ জনকে নেওয়া হয়েছে দেশের ১০টি রাজ্য থেকে। তাদের মধ্যে উত্তর প্রদেশ ও গুজরাট থেকে মন্ত্রী হয়েছেন তিনজন করে। এই দুই রাজ্যেই আগামী বছর বিধানসভার ভোট।
মন্ত্রী হয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক এম জে আকবরও। পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং থেকে জয়ী লোকসভা সদস্য বিজেপির সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াও মন্ত্রী হয়েছের। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের দুই বিজেপি সাংসদেরই স্থান হলো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। অপরজন গায়ক বাবুল সুপ্রিয়।
নতুন মন্ত্রীদের তালিকা তৈরির সময় জাত, সামাজিক অবস্থান ও আঞ্চলিকতার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়। তফসিল উপজাতির প্রতিনিধিত্ব করছেন দুজন, যশোবন্ত সিং ভাবোর ও খাগ্গন সিং কুলাস্তে। পাঁচজন রয়েছেন তফসিল জাতি সম্প্রদায়ের। তারা হলেন, বিজেপির অজয় টামটা, অর্জুনরাম মেঘাওয়াল, রমেশ জিগাজিনাগি ও কৃষ্ণা রাজ। মহারাষ্ট্র থেকে নির্বাচিত বিজেপির শরিক আরপিআই পার্টির নেতা রামদাস আটয়ালেও তপসিল জাতিভুক্ত।
আসামের মন্ত্রী ছিলেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। আসামের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে চলে যাওয়ায় রাজ্যের প্রবীণ বিজেপি সাংসদ রাজেন গোঁহাইকে মন্ত্রী করা হলো।
সরকারি সূত্রের খবর, নতুন ১৯ জন নেওয়ায় অন্তত ছয়জন মন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে। কারণ সাংবিধান অনুযায়ী মন্ত্রিসভার আকার ৮২-র বেশি হতে পারে না। তবে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, অর্থ, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কোনো বদল হবে না। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির হাতে অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। সেই অতিরিক্ত দায়িত্ব থেকে তাকে সম্ভবত ভারমুক্ত করা হবে।
এদিকে বিজেপির মহারাষ্ট্রের শরিক শিবসেনা এই অনুষ্ঠান বয়কট করে। তাদের অভিযোগ, শরিক হওয়া সত্ত্বেও মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্য নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি