যৌথ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাবে ইতালি-জাপান তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সংস্থা, আটক ২

Slider সারাবিশ্ব

 

21653_f2

 

 

 

রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় জঙ্গি হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনার নেপথ্য পরিকল্পনাকারী ও জঙ্গিদের সহযোগীদের ধরতে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব সংস্থা। জঙ্গিরা আরো হামলা চালাতে পারে এই আশঙ্কায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধিসহ নানারকম কর্ম-পরিকল্পনা ও কৌশল প্রয়োগ করা হচ্ছে। এজন্য পুলিশ সদর দপ্তরসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। এদিকে হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দুজন সন্দেহভাজন আটক রয়েছে বলে পুলিশের মহাপরির্দশক একেএম শহীদুল হক জানিয়েছেন। তবে হামলা ও হত্যাযজ্ঞের প্রায় ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এ ঘটনায় মামলা হয়নি। ওদিকে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যৌথভাবে গোয়েন্দা তৎপরতা চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইতালি ও জাপান।
গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, তারা ধারণা করছেন হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলার পরিকল্পনা দেশে বসেই করা হয়। পরিকল্পনার কথা চলতি বছরের শুরুতেই জঙ্গিদের স্লিপার সেলের সদস্যদের জানিয়ে দেয় দলনেতা। এরপরই তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। প্রায় তিন মাস আগে থেকেই আত্মঘাতী হামলার জন্য তাদের মানসিক, শারীরিক ও আগ্নেয়াস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। হামলাকারীরা একাধিকবার চলতি মাসের শুরু থেকেই ওই রেঁস্তরায় রেকি করেছে। তারপর নির্দিষ্ট দিনে তারা হামলা চালায়। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জঙ্গিরা সুরক্ষিত কূটনৈতিকপাড়ায় অস্ত্র ও গ্রেনেড নিয়ে কীভাবে প্রবেশ করলো তা নিয়ে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। গুলশানের কূটনৈতিকপাড়ায় প্রতিটি সড়কেই তল্লাশি চৌকি থাকার পরও বিষয়টি তাদের ভাবিয়ে তুলেছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করছেন, জঙ্গিরা হয় আগে থেকেই হলি আর্টিজানের আশপাশের কোনো সুরক্ষিত জায়গায় অস্ত্র ও গ্রেনেড লুকিয়ে রেখেছিল। এক্ষেত্রে তারা কারো মাধ্যমে বিশেষ সুবিধা নিয়েছে। এ ছাড়া ইফতারের সময় তারা ওই রেস্তরাঁর সামনে চলে যায়। পরে সুযোগ বুঝে ভেতরে প্রবেশ করে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হলি আর্টিজান রেস্তরাঁটি বিদেশিদের অনেকের কাছে খুব প্রিয় ছিল। প্রতিদিনই ওই রেস্তরাঁয় অনেক বিদেশি সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত অবস্থান করতেন। এই বিষয়টি জঙ্গিরা জানতো। তাই তারা সন্ধ্যার পর ওই রেস্তরাঁয় হামলা চালায়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, সাইট ইন্টিলিজেন্সের দাবি অনুযায়ী ওই হামলায় ৫ জন অংশ নিয়েছিল। তবে তাদের ধারণা, হামলাকারীর সংখ্যা আরো বেশি ছিল। তারা আশেপাশে থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারে। সূত্র জানায়, জঙ্গিদের কাছ থেকে জিম্মিদের উদ্ধার করার পর ওই রেস্তরাঁ থেকে ৫টি ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে ওয়াকিটকি দিয়ে কথা বলেছে। এ ছাড়া ওই ওয়াকিটকির সঙ্গে বাইরের কারো সঙ্গে ওয়াকিটকি দিয়ে যোগাযোগ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান বা মনোভাব সম্পর্কে ধারণা নিয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জিম্মি ও হোটেল কর্মচারীদের কাছ থেকে তারা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দেখা গেছে, হত্যাকাণ্ডের পর জঙ্গিরা নিজেরাই ছবি তুলে তা বাইরে কারো কাছে পাঠাচ্ছে। জঙ্গিরা এসব ছবি কার মোবাইল থেকে কার কাছে পাঠিয়েছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হোটেল আর্টিজানে যারা হামলা চালিয়েছে তারা কোনো একটি জঙ্গি সংগঠনের স্লিপার সেল। তারা বাসা থেকে পালিয়ে এসে একত্র হয়ে এক সঙ্গে অবস্থান করেছে। আগের ঘটনাগুলিতেও যারা ধরা পড়েছে তাতে দেখা গেছে স্লিপার সেলের সদস্যরা একত্রে থেকে প্রশিক্ষণ নেয়াসহ মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছে। এক্ষেত্রেও একইরকমভাবে তারা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছিল বলে তাদের ধারণা।
জঙ্গি নিয়ে কাজ করেন এমন একজন কর্মকর্তা জানান, শিক্ষিত তরুণরা জঙ্গিবাদে উদ্ভূদ্ধ হওয়ার কারণে তাদের দমনে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কৌশল সম্পর্কে কিছু কিছু ধারণা রাখে। এ কারণে সাধারণ মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ইন্টারনেট ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করে। একই সঙ্গে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সুরক্ষিত সফটওয়্যারের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। যার ফলে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উদ্ধার করা যায় না। গুলশানের হামলায় জড়িত জঙ্গি সদস্যরাও প্রত্যেকে বাসা থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি।
সন্দেহভাজন দুজন আটক: হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় হামলা ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুজন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে পুলিশের মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন। গতকাল রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে নিহত পুলিশ কর্মকর্তাদের স্মরণে এক শোক সভায় তিনি এই তথ্য জানান। তারা সুস্থ হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে একেএম শহিদুল হক বলেন, হামলাকারী যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। মামলার তদন্তের স্বার্থে আমরাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করব। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি যখন গুলশানে যাই, তখন ডিএমপি কমিশনার বললেন স্যার আপনি আসবেন না। এখানে যুদ্ধাবস্থা। আপনি থানায় যান। আমি গুলশান থানায় ফিরে আসি। কিন্তু থানায় বড় ওয়ারলেস সিস্টেম না পেয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চলে যাই। সেখানে গিয়ে শুনি সালাহউদ্দিন মারা গেছে। প্রধানমন্ত্রীকে জানালাম। তিনি বললেন, রবিউলসহ অন্য সবাইকে সামরিক হাসপাতালে নেয়ার জন্য। কথার ফাঁকেই শুনি রবিউলও মারা গেছে। নিহতের পরিবারকে সহযোগিতার প্রসঙ্গে পুলিশ প্রধান বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ঈদের পরে আমি আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ২০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা দিবো। সরকারও তাদের সহযোগিতা করছে। এ ছাড়াও রবিউলের স্ত্রী মাস্টার্স পাস। তার জন্য ব্যাংকে চাকরির ব্যবস্থা করবো। অভিভাবকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, আপনাদের সন্তানদের দিকে তীক্ষ্ন নজর রাখুন। তারা কোথায় যায়, কি করে, কাদের সঙ্গে মেশে, তাদের আচরণে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কিনা তা ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে রাখুন। কেউ নিখোঁজ হলে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করবেন।
পূর্বাভিজ্ঞতা না থাকায় দেরিতে অপারেশন: এদিকে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, রেস্তরাঁয় সন্ত্রাসীদের হামলা মোকাবিলা ও জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশ ও র‌্যাব অপারেশন চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। তিনি বলেন, ওই রাতে গুলশানের সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল, নিজেদের জীবনের জন্য কোনো ব্যাপার না। মানুষের জন্য চিন্তা করতে হবে। হ্যান্ডমাইক দিয়ে বলা হয়, পুলিশ তোমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। তোমরা আত্মসমর্পণ করো। তিনি বলেন, জিম্মিদের উদ্ধারের মতো ঘটনার পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের থাকলে সেখানে আরো ভালো ব্যবস্থা প্রহণ হয়তো সম্ভব ছিল। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আমাদের পুরো বাহিনীর আগামীতে কী ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে, কী কী করতে হবে, তা আজই ঠিক করতে হবে।
দুই জঙ্গির বাড়ি বগুড়ায়, এক জনের বাবা-মা আটক: বগুড়া থেকে সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িত দুইজন বগুড়ার বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। পুলিশের তালিকায় বাঁধন নামের ওই জঙ্গি স্থানীয়দের কাছে খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল নামে পরিচিত। তার বাবা আবু হোসেন, মা পেয়ারা বেগম এবং বোন ও ভগ্নিপতি ছবি দেখে পুলিশের কাছে তার পরিচয় নিশ্চিত করে। বাঁধনের বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার চুপিনগর ইউনিয়নের বৃকুষ্টিয়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। তার পিতা পেশায় দিন মজুর। তিন ভাইবোনের মধ্যে খায়রুল ছিলে সবার বড়। স্বজনরা জানায়, খায়রুল স্থানীয় বিহিগ্রাম সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা থেকে আলিম পাস করে উচ্চ শিক্ষার জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু গত প্রায় বছর খানেক ধরে পরিবারের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ ছিল না। পরিবারের দাবি, অভিমান করে সে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছিল। একারণে তারা বিষয়টি নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জঙ্গি বাঁধনকে বগুড়ার বাসিন্দা হিসেবে জানানোর পর রোববার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ তার বাবা-মা এবং বড়বোন হোসনে আরা এবং ভগ্নিপতি রঞ্জু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। তারা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ এবং নিহত জঙ্গিও ছবি দেখে তা খায়রুল ইসলাম পায়েল বলে নিশ্চিত করে। গতকাল সকালে হোসনে আরা ও রঞ্জুকে পুলিশ ছেড়ে দিলেও তার বাবা-মা তখনও পুলিশ হেফাজতেই রয়েছে। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে হোসনে আরা ও রঞ্জু মিয়া জানান, তাদের নিয়ে গিয়ে ছবি দেখিয়ে পুলিশ জানতে চায় তাকে চিনতে পারছে কি-না। ছবি দেখে তারা নিশ্চিত করেছেন সে-ই খায়রুল ইসলাম পায়েল। গতকাল সকালে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  নির্দেশে খায়রুলের বাবা-মাকে ছাড়া হয়নি। চোপিনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শাহজাহান আলী জানান, প্রথমে গণমাধ্যমে ছবি দেখেই গ্রামে জানাজানি হয়। রোববার সন্ধ্যায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ একটি ছবি নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। প্রথমে তার বাবা-মা ছবিটি চিনতে পারছেন না বলে জানান। পরে পুলিশ কর্মকর্তারা খায়রুলের ছবি দেখতে চাইলে বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এরপর পুলিশ খায়রুলের মা-বাবাকে থানায় নিয়ে আসে। তারা পুলিশকে জানায়, খায়রুল নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা-মা হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিজ্ঞপ্তি দিতে থানায় জিডি করতে হবে বলে আর বিজ্ঞপ্তি দেননি।
এদিকে নিহত অপর জঙ্গি সদস্যের নাম শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলে জানা গেছে। তার বাড়িও বগুড়ায়। বগুড়ার ধুনট উপজেলার কৈয়াগাড়ী গ্রামের মো. বদিউজ্জামানের ছোট ছেলে সে। বদিউজ্জামান জানান, উজ্জ্বল এইচএসসি পাসের পর বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজে ভর্তি হয়। পরে সেখানে পড়ালেখা বাদ দিয়ে ঢাকার আশুলিয়া থানার শাজাহান মার্কেট এলাকায় মাদারি মাতব্বর কেজি স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেয়। দুই বছর যাবৎ সে সেখানে শিক্ষকতা করছিল। ৬ মাস আগে সে একবার বাড়িতে আসে। সেসময় উজ্জ্বল বাড়ির লোকদের বলেছে, আমি কিছুদিনের জন্য তাবলিগ জামায়াতের চিল্লায় যাচ্ছি। তারপর সে আর ফিরে আসেনি। তিনি আরও জানান, ঢাকায় ৬ জন গুলিতে মারা যাওয়ার ছবির মধ্যে একজন তার ছেলে উজ্জ্বল বলে শনাক্ত করেন।
ধুনট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পঞ্চানন দাস জানান, ঢাকায় যে ছয়জন সন্ত্রাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারা গেছে, তাদের মধ্যে ২১ নম্বর শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বগুড়া পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গুলশানে জঙ্গি হামলায় জড়িত বাঁধনের বাড়ি বগুড়ায়। তার বাবা-মা ছবি দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি এর বাইরে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
যৌথ গোয়েন্দা তৎপরতা চালাবে ইতালি-জাপান
ঢাকায় সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তৎপরতা সমন্বয় করে কর্মকাণ্ড চালাবে ইতালি ও জাপান। এ বিষয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাওলো জেনতিলিনি ও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমো কিসিদার। এ সময় তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গতকাল ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, ৪ঠা জুলাই সকালেই ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন। টেলিফোনে তারা ১লা জুলাই ঢাকায় হলি আর্টিজান রেস্তরাঁয় ভয়াবহ হামলা নিয়ে আলোচনা করেন। ওই হামলায় ইতালির ৯ ও জাপানের ৭ জন নাগরিক নিহত হন। এ নিয়ে টেলিফোন আলাপে তারা সিদ্ধান্ত নেন ঢাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইতালি ও জাপান সমন্বিত কূটনৈতিক ও গোয়েন্দা তৎপরতা চালাবে। এছাড়া তারা জি-৭  দেশগুলোর মধ্যে যৌথ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে সহযোগিতা আরো শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *