ঢাকার গুলশানে ‘হলি আর্টিজান বেকারি’ নামের রেস্তোরাঁয় জিম্মি সঙ্কটের অবসানে কমান্ডো অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযান শুরুর পরপরই ঘটনাস্থল থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়।
ওই এলাকা থেকে সমকাল প্রতিবেদক জানান, শুক্রবার রাত থেকেই পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, সোয়াত ও সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বয়ে এ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু হয়। শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে তাদের প্রস্তুতি শেষ হয়। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কমান্ডো বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অভিযান শুরুর পরপরই নারী ও শিশুসহ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সকাল সোয়া আটটার পর কয়েকজন আহতকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। এর কিছুক্ষণ আগে গোলাগুলি বন্ধ হয়।
আশপাশে অবস্থানকারীদের পুলিশ আরো দূরত্বে সরিয়ে দিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সেখানে অবস্থান করছেন।
তবে অভিযানে কতজন আহত হয়েছেন এবং কেউ নিহত হয়েছেন কিনা- তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এদিকে এ হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
নিহত দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন—ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের ওই রেস্তোরাঁয় হঠাৎ আট থেকে ১০ জন যুবক ঢুকে পড়েন এবং গুলি ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সেখানে অবস্থানরত লোকজনকে জিম্মি করেন। খবর পেয়ে র্যাব, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে যান। অস্ত্রধারীদের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আহত হন পুলিশের ওই দুই সদস্য। গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির পর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।
এসি রবিউলের মামা মোহাম্মদ জালালউদ্দিন সমকালকে জানান, রাত আনুমানিক ১টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান রবিউল।
ওসি সালাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার ভাগ্নে মিশু হাসান। তিনি জানান, সালাহউদ্দিনের গলায় গুলি ও বোমার স্প্লিন্টার বিদ্ধ হয়।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল জলিল মণ্ডল শনিবার ভোরে বলেন, ‘সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের চেষ্টা চলছে। জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’