ঢাকা : আঙ্গুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক) জালিয়াতি করে যেসব সিম নিবন্ধন করা হয়েছে সেগুলো বহু সন্ত্রাসীর হাতে চলে গেছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। এসব সিম ভবিষ্যতে জাতিকে ভোগাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিক এ কথা বলেন।
গত মঙ্গলবার বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় গ্রাহকের আঙুলের একাধিক ছাপ নিয়ে তার বিপরীতে অন্য সিম নিবন্ধন করে বিক্রির অভিযোগে ২১ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে ৩ জন এয়ারটেলের টেরিটরি ম্যানেজার। এরকম হাজার হাজার সিম চালু আছে যেগুলো একই প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি করে নিবন্ধন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ প্রসঙ্গে মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন বলছে, সিম পুনঃনিবন্ধনের সময় বারবার বলার পরেও সরকার কর্ণপাত করেনি। আমরা দাবি করেছিলাম, আরো সতকর্তার সঙ্গে ভোক্তাদের আঙুলের ছাপ নেয়া হোক। কিন্তু সরকার তাতে কর্ণপাত করেনি। এখন একের পর এক জালিয়াতির খবর প্রকাশ পাচ্ছে। লাখ লাখ সিম সাধারণ ব্যবহারকারীদের আঙুলের ছাপ একাধিক বার দিয়ে চুরি করে নিবন্ধন করে নিয়েছে জালিয়াতি চক্র।
বিবৃতিতে নেতারা আরো বলেন, জালিয়াতচক্র এসব সিম উচ্চমূল্যে সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করছে বলে আমাদের সংগঠনের তদন্তে উঠে এসেছে। এতে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পর নিরপরাধ সাধারণ মানুষ ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এমনকি কেউ জানে না কার আঙুলের ছাপ চুরি করা হয়েছে। তাই গোটা জাতি আজ জালিয়াতচক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে বড় কোনো ভোগান্তির আগেই সরকারকে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয় থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে, ৯ কোটি, ১০ কোটি, ১২ কোটি সিম নিবন্ধিত হয়েছে। আসলে প্রকৃতপক্ষে কত সংখ্যক নিবন্ধিত হয়েছে এ নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়।
প্রসঙ্গত, গত ২১ মে চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান ১২০টি রবির সিম নিবন্ধন করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করেছে জালিয়াতচক্র। এরপর গত মঙ্গলবার রাজধানীতে এয়ারটেলের লক্ষাধিক নিবন্ধিত সিমসহ অপারেটরের দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহেও লক্ষাধিক নিবন্ধিত সিম ও ভিওআইপি সরঞ্জামসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।