হবিগঞ্জ : জেলার বাহুবলে চাঞ্চল্যকর ৪ শিশু হত্যা মামলায় চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। সেইসঙ্গে মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালসহ ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করা হয়েছে।
এছাড়াও ডাক্তারি প্রতিবেদনে আসামি রুবেলের বয়স নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে রুবেল কিশোর নয়, তিনি প্রাপ্ত বয়স্ক।
মঙ্গলবার বেলা একটায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কিরণ শংকর হালদারের আদালতে চার্জশিটের ওপর শুনানি শেষে আদালত তা আমলে নিয়ে পলাতক ৩ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার প্রধান আসামি আব্দুল আলী বাগালসহ ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আগামী ২৬ জুলাই।
জামিন নামঞ্জুরকৃত আসামিরা হলো- পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল আলী, তার দুই ছেলে রুবেল মিয়া ও জুয়েল মিয়া এবং আব্দুল আলী বাগালের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরজু মিয়া, শাহেদ মিয়া। এছাড়াও কারাগারে বন্দি সালেহ বশির আহমেদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি (নট সেন্ট আপ) দেয়ার জন্য অভিযোগ পত্রে বলা হয়। তারা দুজনই জামিনে রয়েছেন।
হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা জানান, আদালত চাজশিট গ্রহণ পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেইসাথে ৫ আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জেলার বাহুবল উপজেলার সুন্দ্রাটিকি গ্রামের মো. ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে জাকারিয়া আহমেদ শুভ (৮), তার চাচাত ভাই আব্দুল আজিজের ছেলে তাজেল মিয়া (১০) ও আবদাল মিয়ার ছেলে মনির মিয়া (৭) এবং তাদের প্রতিবেশী আব্দুল কাদিদের ছেলে ইসমাঈল হোসেন (১০)। খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
নিখোঁজের ৫দিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রামের পার্শ্ববর্তী ইসারবিল হাওরে ৪ শিশুর মাটিচাপা অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনার পরপরই প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল আলীসহ ৭ জনকে আটক করে। ঘটনার অন্যতম আসামি বাচ্চু মিয়া র্যাবের সঙ্গে ক্রসফায়ারে নিহত হন। ইতোমধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আব্দুল আলীর দুই ছেলেসহ ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।