জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, দেশে আইনের শাসন নেই বলেই বন্দুক যুদ্ধে মানুষ মরছে। তিনি বলেন, আইনের শাসন আজ শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, বরং গুলিবিদ্ধও। বর্তমান এমপিদের অধিকাংশ বিজনেসম্যান ও মাদকব্যবসায়ী বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশন আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এমন কোনো ঘটনা নেই যে, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় কোনো আসামিকে মেরে ফেলা হয়। ফাহিম বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছে। অথচ তার হাতে হাতকড়া লাগানো ছিল। এভাবে বন্দুক যুদ্ধে আর কত মানুষ মারা হবে। ৫৪ ধারার বদলে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়েছে এখন। এরশাদ বলেন, বন্দুক যুদ্ধে কত মায়ের বুক যে খালি হয়েছে, তা বলে বুঝানো যাবে না। মায়ের চোখের পানিতেই একদিন আমরা ভেসে যাবো। এই অত্যাচার, এই নির্যাতন কবে শেষ হবে, তা আমরা কেউ জানি না। আইনের শাসন আজ শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, গুলিবিদ্ধও। আইনের শাসন নেই বলেই মানুষ মরছে। এরশাদ বলেন, বর্তমান আইনের সংশোধন খুব জরুরি। এই আইন দিয়ে সুবিচার পাওয়া সম্ভব নয়। এ সময় দলীয় ভিত্তিতে বিচারক নিয়োগেরও সমালোচনা করেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
এ ছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, বাবা চেয়েছিলেন একজন আইনজীবী হবো। হতে পারিনি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি। আজকে আমরা যারা সংসদে আছি, তারা আইন প্রণয়ন করি। অথচ এর ১ শতাংশও আইনজীবী নেই। যারা সংসদে আছেন, তাদের অধিকাংশই বিজনেসম্যান ও মাদকব্যবসায়ী। এই হলো আমাদের সংসদের অবস্থা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেরয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, এরশাদ মুক্তি আন্দোলন (বিলুপ্ত) এর আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।
এ ছাড়া বর্তমান সংসদ সদস্যদের সমালোচনা করে এরশাদ বলেন, বাবা চেয়েছিলেন একজন আইনজীবী হবো। হতে পারিনি। বাবার স্বপ্ন পূরণ করা হয়নি। আজকে আমরা যারা সংসদে আছি, তারা আইন প্রণয়ন করি। অথচ এর ১ শতাংশও আইনজীবী নেই। যারা সংসদে আছেন, তাদের অধিকাংশই বিজনেসম্যান ও মাদকব্যবসায়ী। এই হলো আমাদের সংসদের অবস্থা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য দেন- জাতীয় পার্টির কো-চেরয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, এরশাদ মুক্তি আন্দোলন (বিলুপ্ত) এর আহ্বায়ক মাসুদ চৌধুরী প্রমুখ।