বাবুল আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Slider জাতীয়

 

 

2016_06_25_13_04_00_q6sSx0UKhpccbByfw7tp1kOTuIfmGT_original

 

 

 

 

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে তার স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে সাংবাদিকের প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা জানান।

এর আগে রাতে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যে যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের ব্যাপারে তারা এখন নিশ্চিত (কনফিডেন্ট)। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কিছু পরে হয়তো বিস্তারিত জানানো যাবে।

বাবুল আক্তারকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান বলেন, তিনি একজন পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে যারা নিয়ে এসেছেন, তারা তার পূর্বপরিচিত। মাহমুদা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আরও জানার জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জানান, ‘আইজিপি স্যার ডেকেছেন’ বলে শুক্রবার রাতে তার বাসা থেকে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায় পুলিশ।

তিনি জানান, শুক্রবার পুলিশের ২৪তম বিসিএস ফোরামের ইফতার পার্টিতে গিয়েছিলেন বাবুল আক্তার। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে দেখা করে আসেন বাবুল।

মোশাররফ জানান, এরপর বাবুল সন্তানদের নিয়ে তার খিলগাঁওয়ের বাসায় ছিলেন। রাত ১টার দিকে খিলগাঁও থানার ওসি মাইনুল হোসেন ও ডিএমপির মতিঝিল জোনের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন ওই বাসায় গিয়ে ‘আইজিপি স্যার ডেকেছেন, কথা বলবেন’ বলে বাবুল আক্তারকে নিয়ে যায়।

এরপর থেকে বাবুল আক্তারের সঙ্গে আর কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন তার শ্বশুর।

এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসির মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।

এসপি পদে পদোন্নতি পাওয়ার আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা হিসেবে সফলতার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জঙ্গি বিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এ কারণে তার স্ত্রী হত্যায় জঙ্গিরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ধারণাকে সামনে রেখে তদন্তে নামে পুলিশ।

এরপর গত ১২ জুন এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বদল করে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামানকে তদন্তভার দেওয়া হয়। এর আগে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিন মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *