আর্থিক খাতে সাগর চুরির দায়ে অর্থমন্ত্রীকে নৈতিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই জাতির পিতা। এ নিয়ে আমাদের কোন বিতর্ক নাই। আমরা চাই এই বিতর্কের অবসান ঘটুক। আজ সংসদে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এই দাবি করেন তিনি। রাষ্ট্রীয় আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খখলার কথা তুলে তিনি বলেন, এই বাজেটে দেখেছি এক লাখ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ। তাহলে এই টাকা কার কাছে গেছে? এরা কারা? এরা নিশ্চয়ই কোন সাধারণ মানুষ নয়। এদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু এদেরকে আইনের আওতায় আনার তো দূরের কথা।এখন দুই হাজার কোটি টাকার অবলোপন করা হচ্ছে। এই টাকা তো পাবলিক মানি। এই টাকা দিয়ে তো প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের মতো আরেকটা দ্বিতীয় পদ্মা সেতু করা যেত। এছাড়াও সোনালী ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংকসহ সমস্ত ব্যাংকে চলছে লুপপাট আর লুটপাট। এটা আপনি নিজেই বলেছেন, ব্যাংক এখন ক্যান্সারের ইনস্টিটিউশন। এজন্য রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক সরকারি খাত থেকে ছেড়ে দিয়ে বেসরকারি সেক্টরে ছেড়ে দিলে আপনারকে আর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে না। অর্থমন্ত্রী উদ্দেশ্য করে বিরোধী দলীয় নেতা আরও বলেন, আপনি বলছেন সাগর চুরি হয়েছে। আপনি আবার স্বীকারও করছেন অকপটে। সাগর চুরি যদি হয়ে থাকে আমার বিনয়ের সাথে আমার প্রশ্ন, এই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৮শ কোটি টাকা সাইবার ডাকাতি হয়েছে, লুটপাট হয়ে গেছে।তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তিনি নৈতিক কারণে পদত্যাগ করেছেন। আপনি মাননীয় অর্থমন্ত্রী হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন, আপনার কি কোন নৈতিক দায়িত্ব নেই? আপনার কি কোন এথিটিক্যাল রেসপনসিবিলিটি (নৈতিক দায়িত্ব) নেই। আপনার কোন মরাল রেসপনসিবিলিটি নেই। আপনি যখন এই সংসদে বসে বলেন, সাগর চুরি হয়েছে। তার পর মূহূর্তে থেকে আপনি কি আর সংসদে অর্থমন্ত্রী হিসেবে থাকতে পারেন? এটা হচ্ছে আমার কথা। সাগর চুরি বলার পরে ইউ ক্যান স্ট্রে হেয়ার ফাইন্যান্স মিনিস্টার অফ কান্ট্রি। এরপর তো আর আপনি থাকতে পারেন না।আপনিই স্বীকার করছেন ব্যাংকিং সেক্টরে লুটপাটের একটা মহাৎসোব চলছে। ৪ হাজার ১ কোটি টাকার সরকারি ব্যাকিং সেক্টর ঘাটতি পূরণের লক্ষ্যে এখন আবার ভতুর্কি দিচ্ছেন এমন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আবার দুই হাজার কোটি টাকা ভতুর্কি করছেন। কার টাকা দিচ্ছেন। এই টাকা তো গরীব মানুষের টাকা। তাহলে আবার কি লুটপাটের বাড়ানোর জন্য টাকা দিচ্ছেন। এজন্য অর্থমন্ত্রীকে এই ভতুর্কি না দেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।