প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, মানুষের আস্থা বিচার বিভাগের প্রতি আছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন বিশ্বাস করে, বিচার বিভাগ আছে, ‘রুল অব ল’ আছে। আগে কিছুটা আস্থাহীনতা ছিল। এখন আস্থা অনেক বেড়ে গেছে।
আজ সোমবার আকস্মিকভাবে আদালত পরিদর্শনের পর বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সামনে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘আমি এখনো কোনো রেকর্ড পাইনি। আমরা পত্রিকা বা মিডিয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে বিচার করি না। আমার কাছে যখন আসবে বা যদি আসে, বিষয়টা অন্যায় হয়, আমরা বিচার করব। যদি এ রকম কোনো কিছু হয়, অপরাধী যদি হয়, বাড়াবাড়ি হয়, নিশ্চয় তাঁর বিচার হবে। আমরা কোনো মিডিয়ার বিচারে প্রভাবিত হই না।’
এর আগে সকাল নয়টার দিকে আকস্মিকভাবে ঢাকার আদালতে যান প্রধান বিচারপতি। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানাসহ ঢাকার কয়েকটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও মামলার নথিপত্র দেখেন। অনেক বিষয় তাঁকে নোটও করতে দেখা গেছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বর্তমানে দেশে ১৭ কোটি মানুষ। সারা দেশে অনিয়মতো কিছু হচ্ছে। এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। এখানে নিক্তিতে বিচার করে কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়-এটা আমরা মাপতে পারব না। কিছু অনিয়মতো হবেই। তবে বাংলাদেশে অন্য জেলার তুলনায় ঢাকার আদালতে যে অবস্থা দেখলাম, এতে আমি খুব খুশি।’
আদালত পরিদর্শনের কথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রকৃতপক্ষে সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়েছি। আমার রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পর্যন্ত বলিনি। এমনকি আমি সিকিউরিটিকে বলিনি যে, আমি জজকোর্টে যাচ্ছি। আমি প্রথমে গিয়েছি ঢাকার সিএমএম কোর্টের হাজতখানায়। মহিলাদের হাজতখানায় গিয়ে আমি মর্মাহত। দেখলাম, চারজন মহিলা আসামি চারটা বাচ্চা নিয়ে আছেন। বাচ্চাদের বয়স আড়াই বা তিন বছর হবে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম। দুজন মহিলা বললেন, তাঁদের খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে। অপর দুজন বললেন, তাঁদের মাদক মামলার আসামি করা হয়েছে। এই যে চারটা বাচ্চা, এরা কিন্তু আমার দেশের নাগরিক। এরা হয়তো একদিন দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারেন, প্রধান বিচারপতিও হয়ে যেতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁদের মা হয়তো অপরাধ করেছেন কি করেননি, তাঁদের এভাবে জেলে রাখা খুবই দুঃখজনক।’
আজ সোমবার আকস্মিকভাবে আদালত পরিদর্শনের পর বিকেল তিনটার দিকে ঢাকা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আইনজীবী ও সাংবাদিকদের সামনে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘আমি এখনো কোনো রেকর্ড পাইনি। আমরা পত্রিকা বা মিডিয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে বিচার করি না। আমার কাছে যখন আসবে বা যদি আসে, বিষয়টা অন্যায় হয়, আমরা বিচার করব। যদি এ রকম কোনো কিছু হয়, অপরাধী যদি হয়, বাড়াবাড়ি হয়, নিশ্চয় তাঁর বিচার হবে। আমরা কোনো মিডিয়ার বিচারে প্রভাবিত হই না।’
এর আগে সকাল নয়টার দিকে আকস্মিকভাবে ঢাকার আদালতে যান প্রধান বিচারপতি। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের হাজতখানাসহ ঢাকার কয়েকটি আদালতের দৈনন্দিন কার্যতালিকা ও মামলার নথিপত্র দেখেন। অনেক বিষয় তাঁকে নোটও করতে দেখা গেছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, বর্তমানে দেশে ১৭ কোটি মানুষ। সারা দেশে অনিয়মতো কিছু হচ্ছে। এগুলো অস্বীকার করার উপায় নেই। এখানে নিক্তিতে বিচার করে কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়-এটা আমরা মাপতে পারব না। কিছু অনিয়মতো হবেই। তবে বাংলাদেশে অন্য জেলার তুলনায় ঢাকার আদালতে যে অবস্থা দেখলাম, এতে আমি খুব খুশি।’
আদালত পরিদর্শনের কথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি প্রকৃতপক্ষে সারপ্রাইজ ভিজিট দিয়েছি। আমার রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পর্যন্ত বলিনি। এমনকি আমি সিকিউরিটিকে বলিনি যে, আমি জজকোর্টে যাচ্ছি। আমি প্রথমে গিয়েছি ঢাকার সিএমএম কোর্টের হাজতখানায়। মহিলাদের হাজতখানায় গিয়ে আমি মর্মাহত। দেখলাম, চারজন মহিলা আসামি চারটা বাচ্চা নিয়ে আছেন। বাচ্চাদের বয়স আড়াই বা তিন বছর হবে। আমি তাদের জিজ্ঞাসা করলাম। দুজন মহিলা বললেন, তাঁদের খুনের মামলায় জড়ানো হয়েছে। অপর দুজন বললেন, তাঁদের মাদক মামলার আসামি করা হয়েছে। এই যে চারটা বাচ্চা, এরা কিন্তু আমার দেশের নাগরিক। এরা হয়তো একদিন দেশের রাষ্ট্রপতি হতে পারেন, প্রধান বিচারপতিও হয়ে যেতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন। তাঁদের মা হয়তো অপরাধ করেছেন কি করেননি, তাঁদের এভাবে জেলে রাখা খুবই দুঃখজনক।’
ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমি খুবই কষ্ট পেয়ে গেলাম। সোয়া বারোটার সময় গিয়ে দেখি, কোর্টের বিচারক নেমে গেছেন। অথচ সেই কোর্টে বিশ থেকে বাইশটা মামলা বিচারে ছিল। একটা সাক্ষী আসেনি ওই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। এটা বড়ই দুঃখজনক। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীরা যদি জামিনে চলে যায়, তাহলে সাক্ষীরা আসতে বিব্রত হন। এ রকম যদি অভিযোগ থাকে তাহলে সেসব জামিন বাতিল করে দেবেন। আসামিরা জামিনে গিয়ে হুমকি দেবে এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’