ঢাকা : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে নোয়াখালী জেলার সুধারাম থানার চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আগামী ৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে।
আটক আসামিরা হলেন— আমির আহম্মেদ ওরফে আমির আলী, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. আব্দুল কুদ্দুস। অপরদিকে এ মামলায় এখনো পলাতক আছেন আবুল কালাম মনসুর ওরফে এ কে এম মনসুর।
সোমবার (২০ জুন) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল ওই নির্দেশ দেন।
এ সময় আসামিদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মিজানুর রহমান, তারিকুল ইসলাম, গাজী এম এইচ তামিম ও মাসুদ রানা। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম।
আসামিদের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারাম থানায় ১১১ জনকে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন ৪ আসামি।
এ ছাড়া একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. জয়নাল আবেদিন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যায় নেতৃত্ব দেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ।
নোয়াখালীতে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত এই ৪ আসামির বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ নভেম্বর তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩১ আগস্ট শেষ হয়। ওই দিনই তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর সকল অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবেদিন দুটি এবং মো. আব্দুল কুদ্দুস একটি ঘটনায় জড়িত ছিলেন।