গাজীপুর অফিস: বন্ধ স্কুলে কোচিং করানোর সময় ভুলে মায়ের মোবাইল স্কুলে ব্যাগে থাকার অপরাধে ৮ম শ্রেনীর এক ছাত্রকে পিটিয়ে জখম করেছেন স্কুল শিক্ষক। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার বেলা দেড়টার দিকে গাজীপুর জেলার ডুমনী মল্লিকা খাতুন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রের নাম প্রিতম চন্দ্র দাস(১৪)। পিতার নাম সুদীপ চন্দ্র দাস। বাড়ি শ্রীপুর উপজেলার ডুমনী গ্রামে।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে অবস্থানরত আহত ছাত্র প্রিতম জানায়, স্কুল বন্ধ। কিন্তুু স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আ ম মামুন অর রশিদের নিকট সে কোচিং করে। আজ শনিবার বেলা দেড়টার দিকে কোচিং চলাকালে তার স্কুল ব্যাগের মধ্যে মোবাইলের শব্দ হয়। তার মায়ের মোবাইল ভুলে তার ব্যাগে থাকায় ওই ঘটনা ঘটে। তখন শিক্ষক মামুন অর রশিদ মোবাইল ফোনটি ব্যাগ থেকে বের করে ভেঙে ফেলেন। অতঃপর লাঠি দিয়ে প্রিতমের সারা দেহে পিটিয়ে অসংখ্য আঘাত করলে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এরপর তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
প্রিতমের বাবা সুদীব চন্দ্র দাস জানান, আমরা সংখ্যালঘু মানুষ। তাই সবাই মারতে সাহস পায়। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করতে পারছি না। আমি ন্যায় বিচার চাই।
ঘটনাস্থল এলাকা প্রহলাদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল হক নুরু বলেছেন, ঘটনা সত্য। ন্যায় বিচার করা হবে।