সরকার ‘গুম-খুনের মাধ্যমে’ টিকে থাকার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।
শুক্রবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারাদেশে গুম, খুন, সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ‘গণগ্রেফতারে’র প্রতিবাদে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের নাম করে ব্লেইম-গেইমের আড়ালে দেশে শক্তিশালী বড় ধরনের জঙ্গি উত্থান হয় কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশে এর আগে জঙ্গি উত্থান হয়েছিল। একই দিনে একই সময়ে ৬৩ জেলায় বোম্বিং হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের উত্থান নতুন কিছু নয়। আওয়ামী লীগ যখন ছিয়ানব্বইয়ে ক্ষমতায় ছিল তখন রমনা বটমূল এবং পল্টন ময়দানে সিপিবির সমাবেশে জঙ্গিরা বোমা হামলা করে সেদিন অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে।’
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুব একের অপরকে দোষারোপ না করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দ্রুত নির্বাচন দিয়ে দেশের ‘গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা’ ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির বেপারী।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রেজাবুদ্দৌলা প্রমুখ।