ঢাকা: কারাবন্দি তিন আসামির জামিননামা দাখিলের পরও তাদের কারামুক্তি না দেয়ায় দুই জেলার ও সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবীকে সতর্ক করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এরা হলো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুন।
কারাবন্দি তিন আসামির জামিননামা দাখিলের পরও তাদের কারামুক্তি না দেওয়ায় গত বৃহস্পতিবার এই তিনজনকে তলব করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশের পর তারা গত ১৩ জুন আদালতে এসে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে তাদের ব্যাখা দেন। এরপর এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১৫ আগস্ট দিন নির্ধারণ করেন আদালত। আজ নির্ধারিত দিনে তাদেরকে সতর্ক করেন আদালত।
বুধবার বিচারপতি ফরিদ আহম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে জেলারসহ দুইজনকে সতর্ক করে আদেশ দেন।
আদালত এর আগে শুনানির সময় বলেছিন ‘প্রতিদিনই অনেক আসামির কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এমন অভিযোগ আমরা প্রতিনিয়তই পাচ্ছি। আমাদের জামিননামা পাওয়ার পরও তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি। আপনারা হাইকোর্টের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
আদালত আরো বলেন, ‘আপিল বিভাগ হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত করতেই পারে। কিন্তু সর্বোচ্চ আদালতের স্থগিত আদেশ না আসা পর্যন্ত কোনো আসামির কারামুক্তি কি বাধাগ্রস্ত করা যায়?
অর্থপাচারের অভিযোগ এনে গত ২ জানুয়ারি রামপুরা থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এই মামলায় গত ৮ মে পাঁচ আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ১৬ মে জামিননামা কারাগারে যাওয়ার পর দুই আসামিকে মুক্তি দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুনের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামি- গিয়াস উদ্দিন, আমিনুর রহমান ও ওসমান গনিকে মুক্তি দেয়নি কারা কর্তৃপক্ষ।
ওই চিঠিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবে।
এরপর গত ৫ জুন ওই তিন আসামির এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষতে হাইকোর্ট দুই জেলসুপারসহ তিনজনকে তলব করেন। তারা আজ আদালতে উপস্থিত হয়ে তাদের ব্যাখা প্রদান করেন। পরে এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামী ১৫ জুন দিন নির্ধারণ করেন আদালত।