সাঁড়াশি অভিযানে অভিযানে দুই দিনে ৫ হাজারের বেশী মানুষ আটক হয়েছেন। এরমধ্যে জঙ্গী সন্দেহে গ্রেফতার হয়েছে ৭৫ জন। বাকীরা বিভিন্ন মামলার আসামী ও সন্দেহজনক লোক। যদি তাই হয় তবে যাদের বিরুদ্ধে মামলা বা অভিযোগ নেই তাদের ছেড়ে দেয়া উচিত ছিল।
সারাদেশে খবর নিয়ে জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তর আটক বা গ্রেফতারের যে সংখ্যাটা প্রকাশ করেছে প্রকৃত অর্থে আটকের সংখ্যা বেশী। ঘটনাস্থল থেকে থানা ও থানা থেকে আদালতে সোপর্দ করা আসামীর সংখ্যার মধ্যে পার্থক্য আছে। সব মিলিয়ে দাঁড়ায় দুই দিনে যে ৫ হাজার লোক গ্রেফতার হয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশী লোক পুলিশি হয়রানীর শিকার হয়েছেন। ঈদের আগে জনমনে যদি গ্রেফতার আতঙ্ক থাকে তবে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের কি ধরণের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে তা জাতিই জানে।
এ খানে উদাহরণ টেনে বলা যায়, প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীরা যে ধরণের বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে মনে হয় বেগম জিয়া ও জামায়াতের নেতারা জঙ্গী হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর বেগম জিয়া বলছেন, সরকার জড়িত। তাহলে সাধারণ মানুষ ধরে কি লাভ? এ ধরণের গণগ্রেফতারে একটি জিনিস পরিস্কার হয় তা হল, নিশ্চিত না হয়ে গণগ্রেফতার করলে অপরাধ, অপরাধী ও আমরা সকলেই রিমান্ডে চলে যাই।
আমাদের শুভ বুদ্ধির উদয় কবে হবে জানিনা। আমরা কোন ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পারস্পরিকভাবে দোষারোপ করি আর গ্রেফতার করা হয় সাধারণ মানুষ।
জাতি আশা করে, সরকার বিনাদোষে যেমন একজন মানুষও গ্রেফতার করবে না তেমনি দোষী কোন লোককে যেন ছেড়ে দেয়া না হয়। তবেই আইনের শাষন প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা। আর যদি এই ভাবেই চলতে থাকি আমরা, তবে একদিন আমরা দিশেহারা হয়ে যেতে পারি এমন আশংকা আর উড়িয়ে দেয়া যায় না।