কোনো সংসদ সদস্য (এমপি) স্কুল-কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি হতে পারবেন না— এই মর্মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের ওই রায় স্থগিত চেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষের করা আপিলের শুনানি শেষে রোববার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ ‘নো অর্ডার’। এতে এ বিষয়ে হাইকোর্টের আগের রায় বহাল থাকল।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ নিজেই আপিল বিভাগে শুনানি করেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং বোর্ডের প্রো-বিধানমালার ৫০ এর ৫ ধারায় ভিকারুন নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।
সেই রিটের শুনানি নিয়ে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি পদে সংসদ সদস্যদের থাকা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না— তা জানতে চেয়ে গত ১৩ এপ্রিল রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নির্বাচন ছাড়া কমিটি গঠন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় রুলে।
শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোডের চেয়ারম্যান, কলেজ শিক্ষা বোর্ডের পরিদর্শক, ভিকারুননেসা স্কুলের অধ্যক্ষ ও সভাপতি রাশেদ খান মেননকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
সেই রুল নিষ্পত্তি করে গত ১ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। রায়ে, স্থানীয় সংসদ সদস্যদের চারটি বেসরকারি স্কুলে কমিটির সভাপতি পদে থাকার ক্ষমতা বাতিল করেন হাইকোর্ট। এছাড়া রায়ে বেসরকারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটি প্রবিধানমালা ২০০৯ এর ৫ ধারাকেও বাতিল ঘোষণা করা হয়।
রায়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিশেষ ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল ঘোষণা করেন আদালত। পাশাপাশি ওই কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন করতে বলেন আদালত। নতুন কমিটি গঠনের ৬ মাসের মধ্যে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচন দেওয়ার আদেশ দেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।