গ্রাম বাংলা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবিহরতাল বন্ধে আইন করার বিষয়টি দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংসদদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না। তবে দেশের মানুষ চাইলে এবং আপনারা যদি একমত হন, তবে এটা করা যেতে পারে।’
আইনের মাধ্যমে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য হরতাল নিষিদ্ধ করা যায় কি না, জাতীয় পার্টির এম এ হান্নানের এ-সম্পর্কিত সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘হরতাল বন্ধে দেশের মানুষকে সচেতন হতে হবে। সবকিছু আইন করে করা যায় না। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াত জোট বাসে আগুন দিয়ে, মানুষ পুড়িয়ে মেরে সবাইকে সর্বস্বান্ত করেছে। এগুলো আন্দোলন, না হত্যা? এটি হরতাল নয়। এটি জঙ্গিবাদ এবং সন্ত্রাসের আরেক রূপ। এ ধরনের পরিস্থিতি দেশের মানুষ প্রতিরোধ করুক, সেটাই সমীচীন হবে।’
সংসদ নেতা বলেন, সাংসদদের হরতালের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করতে হবে, যাতে কোনো মানুষ ভয়াবহ পরিস্থিতিতে না পড়ে।
মুহিবুর রহমানের (মানিক) প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৯ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ওঠা-নামার জন্য ৩১টি র্যাম্পসহ মোট ৪৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির ভূমি অধিগ্রহণ কাজ তিনটি ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
প্রথম ধাপে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বনানী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছ। দ্বিতীয় ধাপে বনানী থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চলমান আছে। ২০১৮ সালের মার্চের মধ্যে এই এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে বলে প্রধানমন্ত্রী বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তরের আগে বিকেল পাঁচটার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।