কৃষকদেরও ট্যাক্স দিতে হবে : অর্থমন্ত্রী

Slider অর্থ ও বাণিজ্য জাতীয়

file (1)

 

কৃষকদের কর দেয়ার কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘এখন আমাদের সময় হয়েছে। প্রডাক্টিভিটি (উৎপাদনশীলতা) বাড়ছে। তাই কৃষকদেরও ট্যাক্স দিতে হবে। তবে এটা ভ্যাট নয়, ইনকাম ট্যাক্স।’

আজ শনিবার রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-২০১৭ : প্রেক্ষিত বাংলাদেশের কৃষি’ শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি এ আলোচনার আয়োজন করে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষিতে সরকারের রোল খুব কম। এ জন্য কৃষিতে বড় কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে কৃষির পারফরমেন্স বেশ বেড়েছে, গবাদি পশু ছাড়া। যেমন- দুধ এখনও আমদানি করতে হয়। ‍এতে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। আমাদের অনেক কৃষকও উন্নতি করছে। তাই এ ক্ষেত্রে ইনকাম টেক্স আদায় করা যায়।’ এটা অনেক এলাকায় আদায় করা যাবে বলেও জানান তিনি।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‍কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি খাদ্য পণ্য সংগ্রহ করা বড় অসুবিধার কাজ। সরাসরি কেনার জন্য আমরা যাইও, কিন্তু কিনতে পারি না। কারণ সরাসরি কৃষকের কাছে থাকা পণ্য প্রক্রিয়াজাত থাকে না। তাই মিল মালিকদের কাছ থেকে কিনলে সুবিধা হয়। তবে কৃষি পণ্য উৎপাদনে আমাদের ভর্তুকি দিতে হবে। তাহলেই সেটার সুফল সরাসরি কৃষক পাবে। যেমন সার-বীজের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিলে তারা কম দামে তা কিনতে পারবে। এতে উৎপাদন খরচ কমে যাবে।’

আলোচনায় অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষিতে সাপোর্ট দেয়ার অনেক সুযোগ আছে। কিন্তু কোথায় দিলে গ্রোথ বাড়বে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। চাল মিল মালিকদের কাছ থেকে কেনা হলেও এর সুফল পরোক্ষভাবে কৃষকরা পায়। এছাড়া যেসব জিনিস ও যন্ত্রণাপাতি দিয়ে চাষাবাদ করতে হয় সেগুলোর দাম কমাতে হবে।’

বাজেট উচ্চভিলাষী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই বাজেট কোনোভাবেই উচ্চভিলাষী নয়। আমাদের অর্থনীতির অগ্রগতি দিন দিন বাড়ছে। তাই এই ধরনের বাজেট সময়োপযুগী। তাই বাজেটকে বড় কিছু না ভেবে বাস্তবায়নে মন দিতে হবে। ভ্যাট আইন-২০১২ বাস্তবায়ন করতে হবে। করের আওতা বাড়ানোসহ যেসব লোক কর দিতে সক্ষম তাদের সবাইকে টিআইএন রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামসুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম খান, বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিসার্চ কাউন্সিলের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *