নরদিংদী সংবাদদাতা: আমাদের সমাজের অনেক মানুষ আছে যাদের কষ্টের জীবনচিত্র দেখলে নিজেদের চোখের অশ্র“ ধরে রাখা সম্ভব হয়না। এমনি একটি দরিদ্র পরিবারের ভয়াবহ কষ্টের চিত্র আমি দেখে আসছি প্রায় অনেকদিন যাবত। মনোয়ারা নামের ৫৭ বছর বয়সী অসহায় মহিলাটি নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আমীরগঞ্জ ইউনিয়নের রহিমাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহন করেন।
মানুষের বাড়িতে কাজ করে যে সামান্য খাবার পেয়ে থাকে তাতেই অনেক কষ্টে মা এবং বাবা হারা এক মেয়ের কোন রকমে সংসার চলে। অনেক পুরনো জোড়া-তালি দেয়া একটি টিনের ঘরেই রোদ এবং ঝড়-বৃষ্টির কাছে লড়াইয়ে পরাজিত হয়েই অসহায় মা ও মেয়ের প্রতিদিনের জীবন কেটে যাচ্ছে। এই গ্রামে অনেক ধনী ব্যক্তি থাকা সত্বেওে এই দরিদ্র পরিবারটিকে সাহায্য করার জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না। যখন মহিলাটির সাথে কথা বলছিলাম তখন মহিলাটি তার অশ্র“ ভেজা দু-চোখে আমাকে অনুরোধ করলো জীবনের শেষ দিনগুলো সামান্য একটু শান্তিতে কাটানোর জন্য উনাকে যেন নতুন একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেই। উনার অশ্র“ ভেজা দু-চোখের ভাষা আমাকে বলে দিচ্ছিলো এই ঘরটি হয়তো উনার জন্য অনেক বড় পাওয়া।কত আর খরচ হবে সব মিলিয়ে ৫০ হাজার! আমার কষ্টে জর্জড়িত মনের মধ্যে হঠাৎ সাহস সঞ্চার হলো অনলাইনের সকলের মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে এই দরিদ্র পরিবারটিকে সাহায্য করা যায়।
আমরা প্রতিদিন কতভাবেই কত টাকা অপচয় করি। যদি আমরা সকলে মিলে অল্প অল্প করেও সাহায্য করি বা আমাদের জাকাত ফেত্রার একটি অংশ এদের দেই তা হলে হয়তো এই দরিদ্র পরিবারটি নতুন করে একটু শান্তিতে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। তাই সকলের কাছে একটি অনুরোধ আসুন সকলে মিলে এই অসহায় পরিবারটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসি কারন ক্ষনিকের এই পৃথিবীতে মানুষ মানুষের জন্য।
দরিদ্র এই পরিবারটিকে কেউ সাহায্য করতে এবং বাড়িটি পরির্দশন করতে চাইলে এই প্রতিবেদকের নাম্বারে যােগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।
– রিয়েল রানা
মোবাইলঃ – ০১৭৩৪৬১৮২৫৭