রেল ও বিমান ধর্মঘটে কাহিল হয়ে পড়েছে ফ্রান্স। আগামীকাল শুক্রবার সেখানে স্টেডি ডি ফ্রান্সে ইউরো-২০১৬ উদ্বোধন হচ্ছে। কিন্তু এই স্টেডিয়ামের পাশেই রেল স্টেশনে বুধবার কয়েক শত কমিউটার অলস পড়ে ছিল। ধর্মঘটের কারণে অনেক ট্রেনের যাত্রা বাতিল করা হয়। এসব কারণে অসংখ্য মানুষ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর ফলে ইউরো কাপ শুরুতেই হোঁচট খেতে পারে। এক রিপোর্টে এমন কথা বলেছে অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হলা হয়েছে, ইউরো কাপের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফ্রান্স মোতায়েন করেছে ৯০ হাজার পুলিশ ও বেসরকারি গার্ড। আজ শুক্রবার উদ্বোধনী ম্যাচে রোমানিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স। কিন্ত আটদিন ধরে ধর্মঘট চালিয়ে আসছে রেল ইউনিয়নগুলো। তাদেরকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের জন্য প্রস্তাব দিয়েছে এসএনসিএফ রেল অপারেটররা। তারা সেই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কিনা তা অনিশ্চিত। বিপুল সংখ্যক রেলের যাত্রা বন্ধ রাখায় হতাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার থেকে পাশাপাশি চলছে এয়ার ফ্রান্সের ধর্মঘট। তারও কোন সমাধান হবে আজকের মধ্যে তেমনটা দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে শুধু বিদেশী ২০ লাখেরও বেশি অতিথির চলাচল বিঘিœত হবে। এর মধ্যে ৫ লাখই বৃটেনের অতিথি। এসব অতিথি ইউরো কাপ উপভোগ করতে ফ্রান্সে গিয়েছেন। গতকালও শ্রম মন্ত্রী মারিয়াম এল খোমরির এপার্টমেন্টের কাছে বিক্ষোভ করেছে প্রতিবাদীরা। গেরে ডু নর্ড স্টেশনে হয়েছে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। বিক্ষোভ হয়েছে যেসব স্টেশন থেকে ইউরোস্টার ট্রেন বৃটেনের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সেখানে।