ঢাকা : জামিননামা দাখিলের পরও প্রতিদিনই অনেক আসামির কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে মন্তব্য করে আদালত জেলারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা হাইকোর্টের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
গত ৫ জুন জামিননামা পাওয়ার পরও অর্থপাচার মামলার ৩ আসামির কারামুক্তি না দেয়ায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন-রেকর্ড সুফিয়া খাতুনকে তলব করে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) একথা বলেন আদালত।
কোন কর্তৃত্ববলে তাদের কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার লিখিত ব্যাখ্যাও চেয়েছেন বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদ ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এসময় আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেছেন, ‘শুধু এই তিন আসামিই নয়, প্রতিদিনই অনেক আসামির কারামুক্তি বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। এমন অভিযোগ আমরা প্রতিনিয়তই পাচ্ছি। আমাদের জামিননামা পাওয়ার পরও তাদের মুক্তি দেয়া হয়নি। আপনারা হাইকোর্টের কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এর আগে গত ৫ জুন জামিননামা দাখিলের পরও অর্থপাচার মামলার ৩ আসামির কারামুক্তি না দেয়ায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির, গাজীপুর কাশিমপুর কারাগার-১ এর জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা ও অ্যাডভোকেট অন রেকর্ডকে তলব করেন হাইকোর্ট। তলবের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালতে হাজির হন এই তিন কর্মকর্তা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ৮ মে অর্থপাচারের এক মামলায় তিন আসামিকে জামিন দেন হাইকোর্ট। ১৬ মে জামিনামা কারাগারে পৌঁছে। কিন্তু এরপর আসামিদের মুক্তি না দিয়ে বলা হয়, অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সুফিয়া খাতুন আসামিদের জামিনের বিরুদ্ধে আপিলের কথা জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয়।
এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূইয়া ও আদিলুর রহমান খান হাইকোর্টের নজরে আনেন। এরপর গত ৫ জুন হাইকোর্ট তাদের তলব করেন।