চট্টগ্রামে এসপিপত্মী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার ঘটনাটি দেখেছেন আটক মাইক্রোবাসটির চালক মোহাম্মদ জানে আলম (৪০)। পরে তিনি রাস্তা পরিবর্তন করে অন্যদিকে যান।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) দেবদাস ভট্টাচার্য।
বুধবার রাতে নগরীতে অভিযান চালিয়ে চালকসহ একটি মাইক্রোবাস আটক করে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের সময় জিইসি মোড়ের ওই রাস্তা দিয়ে একটি কালো মাইক্রোবাস যেতে দেখা যায়। আটক মাইক্রোবাসটিই সেটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আটক মাইক্রোবাসটির চালক জানে আলমের বাড়ি সীতকুন্ড উপজেলার সলিমপুরে। তিনি গাড়িটি একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া দিয়েছেন এবং নিজেই সেটি চালান।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘জানে আলম আমাদের জানিয়েছেন- মিতু হত্যার ঘটনাটি তিনি দেখেছেন। পরে তিনি রাস্তা পরিবর্তন করে অন্যদিকে চলে যান।’
গাড়িতে ওই সময় কারা বা কয়জন ছিলেন এ বিষয়ের প্রশ্ন করা হলে দেবদাস ভট্টাচার্য তদন্তের স্বার্থে কিছু বলতে রাজী হননি।
পুলিশ কর্মকর্তা দেবদাস জানান, ভিডিও ফুটেজ দেখে খুনীদের সনাক্তের কাজ চলছে। মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে জানে আলম ও তার মাইক্রোবাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
তিনি জানান, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর তার ছেলের স্কুল থেকে এসএমএস পাঠানোর কথা বলা হচ্ছিল; আসলে সেই ধরনের কোনও এসএমএস পাঠানো হয়নি বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার জিইসির মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে খুন হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
মিতুকে হত্যার পর তিনজনকে মোটরসাইকেলে পালিয়ে যেতে দেখা যায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে। ফুটেজে পুলিশ সুপারের স্ত্রী হত্যার ওই ঘটনার পর একটি কালো মাইক্রোবাসও ঘটনাস্থল ছেড়ে যেতে দেখা যায়। ওই মাইক্রোবাসটিকে বুধবার রাতে আটক করা হয়।
এর আগে রোববার রাতে নগরী থেকে একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনা তদন্তকারীরা বলছেন, মিতুকে হত্যার পর দুর্বৃত্তরা ওই মোটরসাইকেলেই পালিয়ে যায়। এরপর থেকে একটি কালো মাইক্রিবাস খুঁজছিল পুলিশ।