বিয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় পাকিস্তানে এক তরুণীকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। দ্বিতীয়বারের মতো প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় হতভাগ্য ওই তরুণীকে এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো।
এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কয়েকজন মিলে বেদম মারধরের পর গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ১৯ বছয় বয়সী মারিয়া সাদাকাতের গায়ে। এতে ওই তরুণীর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে ইসলামাবাদ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (০২ জুন) তার মৃত্যু হয়।
আসিয়া নামে ওই তরুণীর এক আত্মীয় জানান, স্থানীয় একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতো সে। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলের জন্য মারিয়াকে প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ওই ছেলের দু’টি ডিভোর্স ও সন্তান থাকায় প্রস্তাবটি নাকচ করে দেওয়া হয়।
এর প্রতিশোধ হিসেবে মেয়েটিকে আগুনে পুড়িয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আত্মীয় আসিয়া।
মেয়েটির ওপর অমানুষনিক নির্যাতন করা হয়েছে উল্লেখ করে মারিয়া সাদাকাতের চাচা আব্দুল বাসিত বলেন, ছেলেটির দু’বার ডিভোর্স হওয়ায় মেয়েটি বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি স্কুলের চাকরিও ছেড়ে দেয়।
এদিকে, মৃত্যুর আগে মেয়েটির লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যেখানে ঘটনার সঙ্গে স্কুলের অধ্যক্ষ ও আরো চারজন জড়িত বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরে দেশটিতে একই ঘটনায় সোনিয়া বিবি (২০) নামে এক তরুণীর ভাগ্যেও নির্মম এ ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন জানায়, এ ধরনের ঘটনায় গত বছর দেশটিতে অন্তত এক হাজার একশ’ নারীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও সঠিক তথ্য পেলে এ সংখ্যা আরো বেশি ঠেকবে।