নিজেকে এখনো এনালগ দাবি করে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড এগুলো বুঝতেই পারি না। এগুলো এখনো আমার কাছে ‘আন নোয়িং’ (অপরিচিত)। নিজের মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেট থেকে বের করে প্রেসিডেন্ট দেখান আমার মোবাইলটাও এনালগ। স্মার্টফোন না। স্মার্টফোন একটা টিপলে আর একটা আহে।
সাংবাদিকদের প্রতি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের ভালোবাসা বেশ পুরনো। যখন তিনি জাতীয় সংসদের স্পিকার ছিলেন তখন থেকেই সাংবাদিকদের হৃদ্যতার ছাপ দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে সংসদের ৬ষ্ঠ তলায় সংবাদিক লাউঞ্জে আসেন প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। নিরাপত্তার ঘেরাটোপ পেরিয়ে সাংবাদিকদের কাছে আসেন কিছু সময় অবস্থান করে খোঁজখবর নেন সবার। এসময় প্রায় ১০ মিনিট অবস্থান করে ৪টা ৪০ মিনিটে বেরিয়ে যান। প্রেসিডেন্ট বলেন, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড আমি বুঝি না। আমি টেহাও জমা দেই চেকের মাধ্যমে। এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, স্যার সরকার তো ডিজিটাল। একথা বলার পর প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি তো বাবা ডিজিটাল না, এনালগ।
প্রেসিডেন্ট কুশলাদি বিনিময় করার সময় একজন সাংবাদিক তার জীবনী লেখার কথা জানতে চাইলে বলেন, আমার আগে জিল্লুর সাহেব শেষ করতে পারেন নাই, মারা গেছেন। আমি শুরু করেছি, মরার আগে করতে পারবো কিনা দেখি। এ সময় তিনি স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সাংবাদিকের কুশল জানতে চান। সাংবাদিকরাও প্রেসিডেন্টকে কাছে পেয়ে তাঁর শরীরের খোঁজ খবর নেন। এ সময় প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি যখন এখান থেকে যাই, তখন ছিলাম ৬৮ কেজি, এখন ৬৯ কেজি। এই কয়েক বছরে এক কেজি বাড়ছে উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট বলেন, এই এক কেজি বাড়ছে খোঁয়াড়ের (নিরাপত্তা বলয়ে থাকার কথা বুঝিয়েছেন) মধ্যে থাকি তো। খোঁয়াড়ের মধ্যে থাকলে ওজন বাড়ে। প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের খোঁজ খবর নেন।
প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান পার্লামেন্ট জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক কামরান রেজা চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিখিল ভদ্র, অর্থ সম্পাদক কাজী সোহাগ। সংসদের অধিবেশনে এ নিয়ে ৫ম বারেরমতো প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের লাউঞ্জে এসে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। স্পিকার থাকার সময়ও আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট প্রায়ই সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করতেন।
ড. এ কে এম রিপন আনসারী
এডিটর ইনচীফ
গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোরডটকম