জাতীয় নির্বাচনের জন্য বিএনপি সব সময় প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেছেন, নির্বাচনের জন্য বিএনপির আলাদা প্রস্তুতি লাগে না। বিএনপি সব সময় দলগত ও সাংগঠনিকভাবে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তবে সে নির্বাচন অবশ্যই নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে। আজ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নতুন কমিটি নেতাদের নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৯শে মার্চ বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের পর তিন ধাপে মহাসচিব, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক ও সহসাংগঠনিক সম্পাদকসহ এখন পর্যন্ত মোট ৪২ জন নেতার নাম ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে এটাই ছিল প্রথম বৈঠক। বৈঠক শেষে মির্জা আলমগীর বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দলের সাংগঠনিক কর্মকা- বেগবান করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভবিষ্যতের আন্দোলন ঘিরে দলকে আরও শক্তিশালী করা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি যে নেতৃত্ব দেবে, সংগঠনকে সেভাবে গড়ে তোলার শপথ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষমতাসীনরা একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করার জন্য বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে গণতন্ত্রের সব স্তম্ভ ভেঙে দিয়েছে। দেশে একটি স্বৈরতান্ত্রিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। দেশকে এখান থেকে বের করে আনার জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সত্যিকার অর্থে সবার অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। বাজেটের প্রতিক্রিয়া নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা আলমগীর বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। এ ব্যাপারে খুব শিগগিরই দলের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়া হবে, সেখানে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হারুন-অর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নুরুল ইসলাম মঞ্জু, সাখাওয়াত হোসেন জীবন, ডা. শাহাদাত হোসেন, আনোয়ারুল আজিম, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস শিরিন ও শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।