নাগরিকত্ব আইনের সংশোধনীর খসড়া প্রস্তুত করেছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ‘ধর্মীয় নির্যাতনে’র ভয়ে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ভারতে যাওয়া সংখ্যালঘু হিন্দুদেরকে এ আইনে আর ‘অবৈধ অভিবাসী’ বলা হবে না। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের এ পরিবর্তনের মাধ্যমে এই শরণার্থীদেরকে ভারতে রয়ে যাওয়ার, এমনকি নাগরিকত্ব লাভের আইনি পথ খুলে দেয়া হবে। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। খবরে বলা হয়েছে, মোদি সরকার এ অঞ্চলের হিন্দুদের রক্ষক হিসেবে নিজেদের দেখাতে কোন ত্রুটি রাখেনি। সেই পলিসির সঙ্গে মিল আছে নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পদক্ষেপের।
খবরে বলা হয়, এ পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের প্রায় ২ লাখ হিন্দু লাভবান হবে। এ হিন্দুরা নিজ দেশে ‘দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক’ হিসেবে বিবেচিত হন বলে প্রায়ই দাবি করেন। এছাড়া সহিংসতার ঝুঁকিতেও থাকেন তারা। হিন্দু সংখ্যালঘুদের সাদরে গ্রহণ করা ও মুসলিম অভিবাসীদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে তাড়িয়ে দেয়ার নীতি আরও একবার প্রমাণ করলো সরকার। হিন্দুত্ব এজেন্ডা পালনের সমালোচনা আসবে জেনেও, এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মোদি।
২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহারে বিজেপি হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ক্ষমতারোহনের পরপর এ ধরণের শরণার্থীদের দীর্ঘমেয়াদী ভিসা প্রাপ্তি আরও সহজলভ্য করার ব্যবস্থা নেয় বিজেপি।