ঢাকা : অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের পেস বোলার মুস্তাফিজুর রহমানের ইংলিশ টুয়েন্টি টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়া। কারণ বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত পরিশ্রমে তিনি ভেঙে পড়তে পারেন। যদিও কাউন্টিতে খেলার সম্মতি দিয়েছেন জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
আগামী ১০ জুন থেকে ইংল্যান্ডের কাউন্টি দল সাসেক্সের হয়ে খেলার কথা রয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। তবে পুরানো হ্যামস্ট্রিং ইনজুরির করাণে মুস্তাফিজকে কাউন্টিতে খেলতে দেয়ার ব্যাপারে দোটানায় আছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসর মাতিয়ে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন মুস্তাফিজ। একটানা খেলার মধ্যে থাকায় বাঁহাতি পেসারের পুরানো হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। তাই বর্তমানে ছুটি কাটাতে সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে গেছেন মুস্তাফিজ। যদিও বাংলাদেশ জাতীয় টিমের ফিজিও কর্মকর্তারা আইপিএল থেকে ফেরার পর কোনো ইনজুরির লক্ষণ পাননি। তবে মুস্তাফিজকে যে ধরনের চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাতে উদ্বিগ্ন বিসিবি।
মুস্তাফিজের ইংলিশ ক্লাব সাসেক্সের হয়ে কাউন্টিতে খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে চন্ডিকা অবশ্য বলেন, ‘আমি মনে করি ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে খেললে মুস্তাফিজ উপকৃত হবে। কাউন্টিতে যদি তারা বাংলাদেশের চারজন পেসারকেও নিত তাহলে চারজনকেই পাঠিয়ে দেয়ার পক্ষে আমি সায় দেবো। মুস্তাফিজ যেহেতু কাউন্টির সাসেক্স দল নিয়েছে, আমি চাই শরীর ফিট হলে সে সেখানে খেলুক।’
তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ মাত্র দুইটা টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। যার প্রথমটিতেই সে সে ম্যান অব দ্যা ম্যাচও হয়েছে। টেস্টে তার শুরুটা দুর্দান্ত। তবে সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকবে। তাকে ফিট থাকতে হবে। সে একজন বুদ্ধিমান ক্রিকেটার। সেই খুঁজে বের করবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে চ্যালেঞ্জ নিতে হলে কিভাবে সবদিক থেকেই উন্নতি ঘটানো যায়। তাহলে বাংলাদেশ দলও অনেক উপকৃত হবে।’
এ বিষয়ে অবশ্য বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘মুস্তাফিজকে ইংল্যান্ডে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে কিনা, সামনের সপ্তাহে তার অবস্থা পরীক্ষা করে দেখে সিদ্ধান্ত নেবো।’
তিনি এও বলেন, ‘সে অনেকটা চাপের মধ্যে আছে। তার ডান গোড়ালিতে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে বল ডেলিভারির পর তাকে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সে যদি এভাবে খেলতে থাকে যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। তাই আমরা সতর্কতার সঙ্গে তাকে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে চাই, তার আসলে ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিশ্রামে থাকা দরকার কি না।’
উল্লেখ্য, ঘাড়ে ব্যথার কারণে জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুইটি টি২০ ম্যাচে খেলতে পারেননি মুস্তাফিজ। এশিয়া কাপেও মাংসেপেশীতে টান পড়ায় ফাইনাল এবং আইসিসি টি২০ টুর্নামেন্টের চারটি ম্যাচে অংশ নিতে পারেননি।